মোখায় ৭ রোহিঙ্গা আহত, ক্যাম্পের ২৮২৬ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত

ঘূর্ণিঝড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্ষতিগ্রস্ত ঘর। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে টেকনাফ ও উখিয়ায় ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২ হাজার ৮২৬টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ে ৭ জন রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন এবং ১ হাজার ৬১১ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

রোববার রাত ১১টার দিকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ঘূর্ণিঝড়ে পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৭৮টি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ হাজার ৫৪৮টি ঘর।

এছাড়া, ক্যাম্পের ৩২টি লার্নিং সেন্টার, ১টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও ২৯টি মসজিদ ও মক্তব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এর আগে সন্ধ্যায় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছিলেন যে ঘূর্ণিঝড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তবে রাত ১১টায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১৮৩টি টয়লেট, ৩২টি গোসলখানা, ও ৫৮টি অন্যান্য স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়া, ক্যাম্প এলাকার ২২৬টি গাছ এবং ২০টি নলকূপ বা ট্যাপস্ট্যান্ড উপড়ে গেছে। 

ক্যাম্পের ১৩৫ ফুট রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ১২০ জায়গায় ভূমিধ্বস হয়েছে।

অন্তত ৫ হাজার ৩৮৬ জন রোহিঙ্গাকে ঝুকিপূর্ণ স্থান থেকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে।

সন্ধ্যায় কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেছিলেন, 'মোখা যে শক্তি নিয়ে আঘাত হানার কথা ছিল তা থেকে কম শক্তি নিয়ে আঘাত হেনেছে। সে কারণে ক্ষতি অনেক কম হয়েছে।'

পূর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) তাদের ওয়ারহাউসগুলোতে শেল্টার কিট মজুদ রেখেছে। সেগুলো আগামীকাল বা পরশু বৃষ্টি থেমে গেলে বিতরণ করা হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো মেরামত শুরু হবে বলে কমিশনার জানিয়েছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
CSA to be repealed

CSA to be repealed within a week: Nahid Islam

About the election, Nahid said an election based on national consensus will be held after completing all necessary reforms.

3h ago