পাকিস্তানে তৃতীয় দিনের মতো মোবাইল ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ
পাকিস্তানে টানা তৃতীয় দিনের মতো মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা; টুইটার, ফেসবুক ও ইউটিউবসহ প্রধান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে গত মঙ্গলবার দেশটির সরকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়।
এতে দেশটির সাধারণ নাগরিক এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে সরকারকে পুনরায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর অনুরোধ করা হয়েছে। তাদের দাবি, এসব পরিষেবার অভাবে লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যারা সব ধরনের বিল থেকে শুরু করে মুদি দোকানের কেনাকাটা পর্যন্ত অনলাইনে করে থাকেন, তারা ভোগান্তিতে পড়েছেন। এতে দেশটি অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার ইমরান খানের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া, আজ একটি দায়রা আদালতে তোশাখানা মামলায়ও তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পরপরই লাহোরে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে প্রবেশ করে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেয় পিটিআই সমর্থকরা, প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, টুইটার, ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বুধবার থেকে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও ব্যাহত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিক্ষোভের ছবিতে দেখা গেছে, পুলিশের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষ চলছে পিটিআই সমর্থকদের। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ি, চেকপোস্ট, আধাসামরিক বাহিনীর চেকপোস্ট, সরকারি অ্যাম্বুলেন্স, সরকারি রেডিও ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর করেছে, আগুন দিয়েছে।
পেশোয়ার, পাঞ্জাব, লাহোর, করাচি, ইসলামাবাদসহ বড় বড় শহরগুলোতে জোরালো হচ্ছে বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে সহিংসতায় বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কয়েকটি প্রদেশে ইতোমধ্যেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
Comments