আমি কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করি না: আজমত উল্লা

মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন আজমত উল্লা খান। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থী হওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান বলেছেন, 'উনি (জাহাঙ্গীর আলম) নমিনেশন পেপার ক্রয় করেছেন। এটা আমি পত্রিকায় দেখেছি এবং ওনার মাও খরিদ করেছেন। উনি যেহেতু আওয়ামী লীগের কাছে মনোনয়ন চেয়েছেন, আমি বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের প্রতি যদি ওনার আস্থা থাকে, দেশের উন্নতির প্রতি যদি উনার আস্থা থাকে, তাহলে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে উনি ওনার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।'

তা না হলে তৃণমূল থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় এ কথা বলেন আজমত উল্লা খান।

এ সময় নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী বলেন, 'আমার শক্তি জনগণ। আমি কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করি না। নৌকার পক্ষে জনতা আছে, তাই আমি নৌকার প্রতিপক্ষ কাউকে মনে করি না।'

আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এর আগে গতকাল বুধবার মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত জাহাঙ্গীর আলম। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে তার প্রতিনিধিরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুনের নামেও মেয়র পদের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়।

এদিকে আজমত উল্লা খান মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর দুপুর সোয়া ১টার দিকে ইসলামী আন্দোলন'র কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান মেয়র পদে তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

তিনি বলেন, 'আপনারা জানেন বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি গণমানুষের অনাস্থা তৈরী হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা নেই। আজকে নির্বাচন কমিশন বলছে তারা পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে চায়। আমরা নির্বাচন কমিশনের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নির্বাচনে এসেছি। আমরা নির্বাচন করছি মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অংশ হিসেবে।'

ইসলামী আন্দোলনের এই প্রার্থী আরও বলেন, 'অনেকেই ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন বর্জন করেছেন এবং আন্দোলন করছেন। আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তাদের আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তারা যেমন মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কথা বলছেন এবং আন্দোলন করছেন, আমরা মনে করছি বিনা চ্যালেঞ্জে কোনো নির্বাচন ছেড়ে দেওয়াটা আমাদের জন্য বোকামি হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

3h ago