গ্রিডে বিপর্যয়, ১ ঘণ্টার বেশি বিদুৎহীন চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা
বিদ্যুৎ গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে আজ শনিবার বিকেলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিট থেকে ৫টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বেশ কয়েকটি এলাকা ২ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।
পিডিবি সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে মদুনাঘাট ১৩২ কেভি সাব স্টেশনে সিটি (কারেন্ট ট্রান্সফরমার) বিস্ফোরণের কারণে স্থানীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়।
এতে করে হালিশহর, বন্দর, নাসিরাবাদ, বহদ্দারহাট, আসকার দীঘির পাড়, চকবাজার, বাদুরতলা, কাপাসগোলা, জামাল খান, কোতোয়ালী, আগ্রাবাদ, ইপিজেড, পাহাড়তলি, লোহাগাড়া, হাটহাজারী, সাতকানিয়া, আনোয়ারাসহ বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে যান্ত্রিক ও কারিগরি ত্রুটি সারানো হলে ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ধীরে ধীরে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপিত হতে শুরু করে।
তবে বেশ কয়েকটি বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোনো কোনো এলাকায় ২ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় বিদ্যুৎ ছিল না।
দিদার মার্কেট এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, 'আমার এলাকায় দুপুর আড়াইটা থেকে বিদ্যুৎ ছিল না। পরে ৬টার দিকে বিদ্যুৎ এসেছে।'
হালিশহর কে ব্লক এলাকার আব্দুল মাবুদ বলেন, 'বিকেল ৩টা থেকে আমাদের বিদ্যুৎ ছিল না। ইফতারের আগে এসেছে।'
যোগাযোগ করা হলে পিডিবি, চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন বলেন, 'মদুনাঘাট ১৩২ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে একটি সিটি বিস্ফোরিত হলে স্থানীয় গ্রিডে বিপর্যয় হয়। আমরা তাৎক্ষনিক যান্ত্রিক ও কারিগরি ত্রুটি সারিয়ে বিদ্যুৎ পুনঃ সংযোগ স্থাপনে সক্ষম হই। গ্রিড বিপর্যয়ের জন্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।'
জানতে চাইলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গ্রিডে বিপর্যয়ের ফলে চট্টগ্রামে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। তবে এরপর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বভাবিক হতে শুরু করে।'
কোনো কোনো এলাকায় ২ ঘণ্টার বেশি সময় বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, 'ওই সময় হয়তো ওইসব এলাকায় লোডশেডিং চলছিল।'
Comments