আইপিএল

‘ডোন্ট কেয়ার’ মানসিকতা নিয়ে সফল ব্রুক

Harry Brook
আইপিএলের শুরু থেকেই ইংলিশ ব্যাটার হ্যারি ব্রুককে নিয়ে মানুষের আগ্রহ ছিল প্রবল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ১৩ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে তাকে দলে ভিড়িয়েছিল। কিন্তু প্রথম তিন ম্যাচে একদম রান পাননি তিনি। আর এতেই ধেয়ে আসতে থাকে সমালোচনায় ভান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় সমর্থকরা টিটকারি করতে থাকেন ব্রুককে। চতুর্থ ম্যাচে গিয়ে বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে নিজেকে রাঙিয়েছেন তিনি, হয়েছেন দলের জয়ের নায়ক। এরপর অকপটে পাল্টা জবাব দিয়েছেন সেইসব সমর্থকদের।

২৪ পেরুনো তরুণ ব্রুক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অভিষেকের পর থেকেই আলো ছড়াচ্ছেন। ৬ টেস্টেই করে ফেলেছেন চার সেঞ্চুরি। টেস্টে তার স্ট্রাইকরেট ৯৮.৭৭!  ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতেও আগ্রাসী ব্যাটিং নিয়ে নিজেকে আলাদা করেছেন তিনি।

শুক্রবার ইডেন গার্ডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে গুঁড়িয়ে দিতে এবারের আইপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি করেন ব্রুক। ৫৫ বলে ১২ চার, ৩ ছক্কায় খেলেন ১০০ রানের ইনিংস। তার এমন দাপটে ২২৮ রানের পুঁজি পেয়ে ২৩ রানে ম্যাচ জিতে সানরাইজার্স।

পরে কথা বলতে এসে জানান, প্রথম তিন ম্যাচের ব্যর্থতার পর মানুষের তেতো কথায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি, 'আমার মনে হয় প্রথম কিছু ম্যাচের পর আমি নিজেই নিজের উপর চাপ তৈরি করে ফেলেছিলাম। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরেন তাহলে দেখবেন মানুষজন আপনাকে নিয়ে আজেবাজে বকছে, যা আপনার উপর কিছু প্রভাব ফেলে।'

নিজের মনকে নেতিবাচক কথাবার্তা থেকে সরিয়ে পাত্তা না দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে নেমেছিলেন ব্রুক। ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। এবার সমালোচনাকারীরাই মাতছেন প্রশংসায়। তবে তাদের চুপ করিয়ে দিতে পেরেই স্বস্তি ব্রুকের,  'কিন্তু আজ (গতকাল) রাতে নেমেছি "আই ডোন্ট কেয়ার" মানসিকতা নিয়ে। ভাগ্য ভালো যে এটা কাজে দিয়েছে। । ভারতীয় সমর্থকদের অনেকেই আমাকে (সোশ্যাল মিডিয়ায়) বলবেন, "ওয়েল ডান।"  অথচ তারাই আমাকে কদিন আগে তুলোধুনো করছিল। তাদেরকে চুপ করাতে পেরে সত্যিই আমি খুশি।'

এবার আইপিএলে প্রথম ম্যাচে ব্রুক নেমেছিলেন চারে। তাতে ২১ বল খুইয়ে ১৩ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। পরের ম্যাচে পাঁচে নেমে করেন ৪ বলে ৩ রান। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচ থেকে তাকে নামানো হয় ওপেনিংয়ে। সেই ম্যাচেও ১৪  বলে ১৩ করে আউট হয়ে যান।

চতুর্থ ম্যাচে ওপেনিংয়েই হলেন সফল। ব্যাটিং পজিশন বদল কাজে দিলেও তা নিয়ে বেশি ভাবতে চান না তিনি,  'অনেকের মতে টি-টোয়েন্টে ব্যাট করার আদর্শ জায়গা ওপেনিং। পাওয়ার প্লেতে দুজন বৃত্তের বাইরে থাকে। তবে আমি যেকোনো জায়গায় ব্যাট করতে পারলেই খুশি। যদিও নাম কামিয়েছি পাঁচে ব্যাট করে। তবে দলের প্রয়োজন মেটাতে পারলে খুশি হই।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

3h ago