চার-ছক্কার বৃষ্টিতে আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড হায়দরাবাদের
ওপেনার ট্রাভিস হেড ফিফটি স্পর্শ করলেন ১৮ বলে। তিনে নামা অভিষেক শর্মা তাকে ছাপিয়ে হাফসেঞ্চুরি করলেন স্রেফ ১৬ বলে। পাঁচে নেমে ২৩ বলে ফিফটি ছোঁয়া হেইনরিখ ক্লাসেন তাণ্ডব চালিয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন। তাদের চার-ছক্কার বৃষ্টিতে আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড গড়ল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
বুধবার রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলারদের কচুকাটা করেছে হায়দরাবাদ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৭৭ রান জমা করেছে তারা। তাদের ইনিংসে ১৯ চারের সঙ্গে দেখা মেলে ১৮ ছক্কার।
অস্ট্রেলিয়ার হেড ঝড় তুলে ২৪ বলে ৯ চার ও ৩ ছয়ে করেন ৬২ রান। ভারতের অভিষেক ৩ চার ও ৭ ছয়ের সাহায্যে ২৩ বলে খেলেন ৬৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্লাসেনের ব্যাট থেকে আসে ৮০ রান। মাত্র ৩৪ বল মোকাবিলায় ৪ চার ও ৭ ছক্কা হাঁকান তিনি। তার জাতীয় দলের সতীর্থ এইডেন মার্করাম করেন অপরাজিত ৪২ রান। ২৮ বল খেলে তিনি মারেন ২ চার ও ১ ছক্কা। ওপেনিংয়ে নামা আরেক ভারতীয় মায়াঙ্ক আগারওয়ালই কেবল শান্ত ছিলেন। তিনি ১ চারে ১৩ বলে ১১ রানে আউট হন।
আইপিএলে আগের সর্বোচ্চ দলীয় পুঁজি ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। তারা ঘরের মাঠে ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২৬৩ রান তুলেছিল। সেদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক তারকা ক্রিস গেইল ৬৬ বলে হার না মানা ১৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন।
সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের কীর্তি গড়েছে হায়দরাবাদ। গত বছর মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে হাংঝুতে ৩ উইকেটে ৩১৪ রান করেছিল এই তালিকার শীর্ষে থাকা নেপাল। যৌথভাবে দুইয়ে অবস্থান করছে আফগানিস্তান ও চেক প্রজাতন্ত্র। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেরাদুনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আফগানরা তুলেছিল ৩ উইকেটে ২৭৮ রান। একই বছরের অগাস্টে ইলফভ কাউন্টিতে তুরস্কের বিপক্ষে চেকরা ৪ উইকেটে ২৭৮ রান জমা করেছিল।
প্রথম পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই ৮১ রান তুলে বিশাল পুঁজির ভিত পেয়ে যায় হায়দরাবাদ। পরের ওভারে তাদের সংগ্রহ ছাড়ায় শতরান। ইনিংসের মাঝপথে স্কোরবোর্ডে ছিল ১৪১ রান। যা আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ১০ ওভারে সর্বোচ্চ দলীয় রানের নতুন রেকর্ড। এই সময়ে ছড়ি ঘোরান হেড ও অভিষেক। পরের ১০ ওভারে আক্রমণের ধারা জারি রাখেন ক্লাসেন ও মার্করাম।
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচ দুঃস্বপ্নের মতো কাটে দক্ষিণ আফ্রিকার ১৭ বছর বয়সী পেসার কিউনা মাফাকার। মুম্বাইয়ের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি। রান খরচে সবচেয়ে কৃপণতা দেখানো জাসপ্রিত বুমরাহর ইকোনমিও ছিল ৯! ভারতের পেসার উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দেন ৩৬ রান।
Comments