‘প্রলয় গ্যাং’র ২ সদস্য গ্রেপ্তার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনকে মারধরের ঘটনায় 'প্রলয় গ্যাং'র ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষার্থীকে আসামি করে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন।
আজ সোমবার শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'এ ঘটনায় নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও ফয়সাল আহমেদ সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা মামলার নথিভুক্তি আসামি। গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।'
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার ফয়সাল আহমেদ সাকিব ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের শিক্ষার্থী এবং মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে থাকেন। নাঈমুর রহমান দুর্জয় নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি জসীমউদ্দীন হলে থাকেন। ফয়সাল আহমেদ সাকিব ২ নম্বর আসামি এবং নাঈমুর রহমান দুর্জয় ৬ নম্বর আসামি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার ইফতারের পর সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন জোবায়ের। হঠাৎ একটি প্রাইভেটকার বেপরোয়া গতিতে তাদের সামনে দিয়ে চলে যায়। গাড়ি যাওয়ার সময় কাদা-পানি ছিটে যায় জোবায়ের ও তার বন্ধুদের গায়ে। তখন তারা একটি মোটরসাইকেল নিয়ে ওই প্রাইভেটকারটির পেছনে যায়।
একপর্যায়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কাছে ৩ নেতার মাজারের সামনে গিয়ে প্রাইভেটকারটিকে আটকায়। আরোহীদের কয়েকজনকে জোবায়ের চিনতে পারেন। তিনি তাদের গাড়ি জোরে চালানোর বিষয়ে জানতে চান এবং সে সময় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে জোবায়ের আবার সামাজিক বিজ্ঞান চত্বরে চলে আসেন।
জুবায়ের জানান, প্রায় এক ঘণ্টা পর তাকে ফোনে কবি জসীমউদ্দীন হল এলাকায় আসতে বলা হয়। সেখানে পৌঁছালে প্রায় ১৫ জন মিলে লাঠি, ক্রিকেট স্ট্যাম্প নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তাকে চামড়ার বেল্ট দিয়ে পেটায়।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে অবস্থান করে 'প্রলয় গ্যাং' নামে একটি চালায়। ওই চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
Comments