ঢাবি শিক্ষার্থীকে রড দিয়ে পেটাল ‘প্রলয়’ গ্যাং

অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে রড ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে রড ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

গতকাল শনিবার রাতে কবি জসিমউদ্দিন হলের গেইটে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মারধরে অভিযুক্তরা ক্যাম্পাসে 'প্রলয়' নামে একটি গ্যাংয়ের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িতের অভিযোগও রয়েছে।

গতকাল রাতে অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের ইবনে হুমায়ুনকে মারধরের পর এই চক্রটি প্রকাশ্যে আসে।

আহত জুবায়ের ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা গেছে। 

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ক্যাম্পাসের সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের কাছে বন্ধুদের নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ বেপরোয়াভাবে একটি মাইক্রোবাস সেদিক দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের গায়ে কাদা ছুড়ে মারে। তারপর আমি ও আমার বন্ধু তিন নেতার মাজারের কাছে সেই মাইক্রোবাসটি আটক করে কারণ জানতে চাই।'

'পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারা আমাকে হল গেইটে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে পেটায়,' বলেন তিনি।

এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী তবারক মিয়া, সিফরাত সাহিল, ফয়সাল আহমেদ শাকিল ও শোভন জড়িত বলে জানান তিনি। এছাড়া বঙ্গবন্ধু হলের ফেরদৌস আলম ইমন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের অর্নব, হেদায়েতুন নুর, সাদমান তাওহিদ বর্ষণ, ও জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থী জয় বিশ্বাসও মারধরে জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি। তারা সবাই ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতাকর্মী। 

গতকাল রাতে মাথায়, নাকে ও পিঠে ক্ষত নিয়ে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে হেদায়েতুন নূর ও সাদমান তাওহিদ বর্ষনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, জুবায়ের প্রথমে তাদের ওপর হামলার চেষ্টা করেছিল। তাই পরে তারা তাদের বন্ধুসহ ওই শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদেরকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে। ভিকটিম আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রমাণ দিয়ে সাহায্য করার জন্য।'

Comments