অনেক মানুষ ঠিকমতো খাবার পায় না, দাম বাড়াবেন না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া গ্রামে শুভ্র সেন্টারে সাটুরিয়া ও সদর উপজেলার ইউনিয়ন ও পৌরসভার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও ইফতার করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, 'আমাদের দেশের অনেক মানুষ সারা বছরই রোজার মতো করে কাটায়। তারা ঠিকমতো খাবার পায় না। রোজার মাসে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা বিপাকে পড়েছে।

তিনি বলেন, 'ইউক্রেনের যুদ্ধে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। তবে আমাদের সরকার অনেক চেষ্টা করছে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।'

শনিবার বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া গ্রামে শুভ্র সেন্টারে মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা রোজার সময় মানুষকে কষ্ট দেবেন না। ইফতারের জিনিস বা খাবারের দাম অযথা বাড়াবেন না। আপনারা লোভ-লালসা একটু কমান। লাভ একটু কম করেন। তাহলেই মানুষ রোজা রেখে ইফতার করতে পারে। এক শ্রেণির লোক আছে যারা রোজার সময় বেশি বেশি মুনাফা করতে চায়, সরকারের বদনাম করতে চায়—সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।'

তিনি বলেন, 'আমাদের সামনে জাতীয় নির্বাচন আছে। এই নির্বাচন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত হবে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবে কিনা। আমাদের বিশ্বাস সঠিক সময় অবশ্যই জনগণ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি বলেন, 'আওয়ামীলীগের সময় দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে। গ্রামে প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। আশেপাশের সব রাস্তাঘাট পাকা হয়েছে।বাড়ির কাছে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলা-জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের মাধ্যমে ভালো স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে জনগণ। এই সবই আওয়ামী লীগের সময়ে হয়েছে।'

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'বিএনপি সরকারের আমলে আমরা গ্রেনেড হামলা দেখেছি। দোকানে গিয়ে দেখা যেতো জামা-কাপড় নিয়ে গেছে, কিন্তু কোন টাকা-পয়সা দেয় নাই। বাজার থেকে খাদ্য নিয়ে গেছে টাকা দেয় নাই। পেট্রোল পাম্প থেকে তেল নিয়ে গেছে পয়সা দেয় নাই। রাত্রি বেলায় ভয়ে লোকে বের হতো না। ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক অনুষ্ঠান করতে মানুষ ভয় পেত। ভয়ে এই অনুষ্ঠানগুলো করতে পারতো না। আমরা সেই অবস্থাতে আর ফিরে যেতে চাই না।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকে গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. ইসরাফিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরশেদ আলী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands. 

3h ago