চট্টগ্রামে আবার ৪০০ হবে, এমনটা মনে করে না বাংলাদেশ

Chattogram wicket
কেমন হবে উইকেট? চট্টগ্রামের প্রধান কিউরেটরের সঙ্গে আলাপে বুঝে নিতে চাইছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

নিজের ব্যাটিং অনুশীলনের ফাঁকে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ছুটলেন উইকেটের কাছে। তার সঙ্গে এসে জুটলেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আর সাকিব আল হাসান। দুই কিউইরেটের সঙ্গে তাদের আলাপ চলল খানিকক্ষণ। এই আলাপের বিষয়বস্তু যে কেউ আঁচ করতে পারে।

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রান বান্ধব উইকেটের সুনাম আছে। প্রধান কিউরেটর প্রবীণ হিঙ্গারনিকার ও তার ডেপুটি জাহিদ রেজা বাবু বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টকে হয়ত উইকেটের ধরণ নিয়ে ধারণা দিচ্ছিলেন।

সিরিজের প্রেক্ষিতে সোমবার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের গুরুত্ব সেভাবে নেই। মিরপুরেই যে সিরিজ জেতার কাজটা সেরে ফেলেছে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ দলের জন্য অবশ্য গুরুত্বটা অন্য দিক থেকে। ২০১৪ সালের পর ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশের তেতো অভিজ্ঞতা হয়নি। সিরিজ শুরুর আগের মাঠের বাইরের বিতর্ক মিলিয়ে বাড়তে পারে চাপ। নিজেদের সামর্থ্য নিয়ে উঠা প্রশ্নও এই ম্যাচ হারলে দূর করা হবে কঠিন। সেসব বাস্তবতায় চিন্তাটা তাই প্রবল। 

চিন্তার জায়গা জুড়ে আছেন বাইশগজও। গত ডিসেম্বরে এই মাঠে হওয়া সব শেষ ম্যাচে ৪০৯ রান করে ফেলেছিল ভারত। ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ইশান কিশান। ইংল্যান্ড এই মুহূর্তে দুনিয়ার সবচেয়ে আক্রমণাত্মক দল। তাদের বিপক্ষে পাটা উইকেটে খেলার ভয়টা কোথায় বলে দেওয়ার দরকার নেই।

সিরিজ শুরুর আগে অধিনায়ক তামিম অবশ্য জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই সিরিজের শেষ ম্যাচটা চট্টগ্রামে রেখে নিজেদের কঠিন চ্যালেঞ্জে বাজিয়ে নিতে চান তারা। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে হোয়াইটওয়াশের সামনে থাকায় সেই চিন্তা কি এখনো আছে?

হেরাথের কন্ঠে সেই চিন্তা থেকে সরে আসারই সুর। অন্তত ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের মতোন উইকেট মনে হচ্ছে না হেরাথের, তাই এখানে আবার তেমন কিছু (৪০০ রান) হওয়ার পরিস্থিতিও দেখছেন না তিনি, 'এটা ভিন্ন রকম উইকেট (ভারত সিরিজ থেকে)। কাজেই আমরা এই পিচে একই জিনিস হবে এমনটা ভাবছি না। আমরা দলের জন্য সেরাটা করতে চাইব।'

উইকেট একটু মন্থর হলে, টার্ন করলে, উঁচু-নিচু বাউন্স থাকলে ইংল্যান্ডের মতন দলগুলোর বিপক্ষে সুযোগ থাকে বাংলাদেশের। কিন্তু উইকেট যদি হয় রানে ভরা। সেখানে এক ঝাঁক হিটারদের বিপক্ষে পেরে উঠা শক্ত। হেরাথ বলতে চাইলেন আগের মতন কিছু হবে না এবার, 'এটা ভিন্ন রকমের উইকেট। আমরা অবশ্যই একই জিনিস প্রত্যাশা করছি না। '

ইংলিশ পেসার উডের কথায় অবশ্য মিলল ভিন্ন আভাস। উইকেটের মাঝে হেঁটে তার সেটা মিরপুর থেকে বেশ শক্ত মনে হয়েছে। এমন উইকেট দেখে নিজেদের দলের ব্যাটারদের রোমাঞ্চিত দেখছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

13h ago