দ্রুত ইংল্যান্ডের ৩ উইকেট তুলে লড়াইয়ে ফিরল বাংলাদেশ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

২৪৭ রানের মাঝারি লক্ষ্যে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ শুরু পেল ইংল্যান্ড। দুই ওপেনার জেসন রয় ও ফিল সল্ট যোগ করলেন ৫৪ রান। তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করার মাধ্যমে চাপ সামলে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ও ইবাদত হোসেনের দারুণ বোলিংয়ে লড়াইয়ে ফিরল তারা।

সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৪৬ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিকরা। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, সফরকারীদের সংগ্রহ ১১ ওভারে ৩ উইকেটে ৫৬ রান। মাত্র ১ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরেছেন সল্ট, ডভিড মালান ও রয়।

বাঁহাতি স্পিনার সাকিব বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সল্টকে ফিরিয়ে। এরপর আরেক ওপেনার রয়কেও সাজঘরের পথ দেখান তিনি। মাঝে মালানকে বিদায় করেন ডানহাতি পেসার ইবাদত।

রয় ও সল্ট গড়েন ৫৪ বলে ৫৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। ব্যাটিংয়ের জন্য উপযোগী উইকেটে রয় কিছুটা ভুগলেও সল্ট খেলছিলেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। তাতে ম্যাচ থেকে শুরুতেই ছিটকে পড়ার শঙ্কা জাগছিল তামিম ইকবালের দলের। নবম ওভারের শেষ বলে স্বস্তি ডেকে আনেন সাকিব। কাট করতে গিয়ে কভারে মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়েন সল্ট। ২৫ বলে ৭ চারে তার রান ৩৫।

পরের ওভারে ইবাদত শিকার করেন মালানের উইকেট। প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি হাঁকানো এই বাঁহাতি ব্যাটার এদিন রানের খাতা খুলতেই পারেননি। ২ বল খেলে শূন্য করেন তিনি। টাইমিংয়ে গড়বড় করে বল আকাশে তুলে দেন মালান। মিড অনে আরেকটি অনায়াস ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ।

আক্রমণে ফিরে বাংলাদেশের সেরা তারকা সাকিব ফের আঘাত হানেন ইংল্যান্ডের ইনিংসে। তার তুলনামূলক দ্রুত গতির আর্ম ডেলিভারি ব্যাকফুটে খেলতে চেয়েছিলেন রয়। তবে ব্যর্থ হয় তার প্রচেষ্টা। বেশ নিচু হয়ে বল ভেঙে দেয় স্টাম্প। ৩৩ বলে ১৯ রান করতে রয় মারেন ৩ চার।

এর আগে দলীয় ১৭ রানে তামিম ও লিটন দাসকে হারানো বাংলাদেশের লড়াইয়ের পুঁজি পাওয়াতে বড় অবদান সাকিবেরই। ৭১ বলে ৭ চারে তিনি করেন ৭৫ রান।  ৯৩ বলে ৬ চারে ৭০ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম। ৭৩ বলে ৫ চারে ৫৩ আসে নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে। ইংলিশদের পক্ষে পেসার জোফ্রা আর্চার ৩ উইকেট নেন ৩৫ রানে।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam threatens int'l legal action against govt over asset freezing: FT

Alam says his family's bank accounts were frozen, they were subjected to travel bans, and they lost control of their companies, all while facing investigations for alleged money laundering without formal notification.

2h ago