দ. আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আরও ১ জনের মৃত্যু

আনিসুল হক ওরফে মিলন (২৮)। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত প্রবাসী বাংলাদেশি আনিসুল হক মিলন মারা গেছেন। এ নিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ৬ প্রবাসীর মৃত্যু হলো।

সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় কেপটাউন জজ হাসাপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিলনের মৃত্যু হয়।

নিহত মিলনের ঘনিষ্ট প্রবাসী বাংলাদেশি গোলাম কিবরিয়া হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় মিলনসহ ২ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে দ্রুত হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় সকাল ৬টার দিকে ইস্টার্নক্যাপ প্রদেশের লোকানকা এলাকার এন ওয়ান হাইওয়েতে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল ৭ বাংলাদেশিকে বহনকারী প্রাইভেটকার। দ্রুতগামী লরির চাপায় পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায় তাদের টয়োটা করোলা কারটি।

ঘটনাস্থলেই ৫ প্রবাসী আবুল হোসেন ও তার শিশু সন্তান নাদিম হোসেন, রাজু আহমেদ, ইসমাইল হোসেন, মোস্তফা কামালের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

আনিসুল হক মিলনসহ নিহত ৬ জনের বাড়ি ফেনী সদর উপজেলায়। মিলন দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যবসা করতেন।

দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া সেই গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

আহত অপর বাংলাদেশি গোপালগঞ্জ জেলার নাহিদ আহমেদ চিকিৎসার পর বাসায় ফিরে গেছেন।

স্থানীয় প্রবাসীরা জানান, ঘটনার দিন আনিসুল হক মিলন দেশে ফিরতে কেপটাউনে বিমানবন্দরে উদ্দেশে প্রাইভেটকারে রওনা হয়েছিলেন। বাকিরা তাকে এগিয়ে দিতে সঙ্গী হয়েছিলেন।

নিহতদের মরদেহ স্থানীয় মর্গে রাখা হয়েছে। মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা চলছে বলে কমিউনিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকা নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নুরী হেলাল সাইফুর রহমান মর্মান্তিক এ ঘটনায় শোক জানিয়ে বলেছেন, মরদেহ দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য সব ধরনের সহাযোগিতা করবে দূতাবাস।

লেখক: দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Political party consensus will determine speed of reforms, election

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus has said that it is the political parties that will decide on the nature and extent of reforms, which in turn will determine how soon the election can be held.

2h ago