সাকিবের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করলেন না তামিম

Tamim Iqbal
সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

তামিম ইকবালকে সংবাদ সম্মেলনে প্রথম প্রশ্নই হলো সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে। পরে ঘুরেফিরে সেই প্রসঙ্গ এলো বারবার। পেশাদার জায়গায় সব কিছু ঠিক থাকলেও নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকার কথা একবারও অস্বীকার করেননি তামিম। এমনকি এই তেতো সম্পর্ক একদিন ঠিক যাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনাও দেখেন তিনি।  

বেশ অনেকদিন ধরেই সাকিব ও তামিমের মধ্যে চলছে সম্পর্কের টানাপোড়ন। বিষয়টি এতদিন 'ওপেন সিক্রেট' হয়ে থাকলেও এখন তা অফিসিয়াল করে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া তার সাক্ষাতকারের পর গত দুদিন ধরেই বিষয়টি উত্তাপ ছড়াচ্ছে দেশের ক্রিকেটে। তামিম জানতেন রোববার এই বিষয়েই সংবাদ সম্মেলনে ধেয়ে আসবে অনেক প্রশ্ন। হোমওয়ার্ক করেই তাই সেসব সামলাতে এসেছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক।

নিজেদের মধ্যে সম্পর্কটা আসলে কোন জায়গায় এই নিয়ে সরাসরি প্রশ্নে কেবল মাঠের পেশাদার সময়টুকুর কথা বললেন তামিম, 'আমার কাছে সবচেয় গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো আমি, সাকিব যখন বাংলাদেশ দলের জার্সি পরি, মাঠে যখন আমি নামি আমি আমার সেরাটা দেই, সে তার সেরাটা দেয়। আমি যখন অধিনায়কত্ব করি তখন যেকোনো পরামর্শ চাই। সে আমাকে পরামর্শ দেয়। আবার সে যখন অধিনায়কত্ব করে তখন তার কোনো পরামর্শের প্রয়োজন হলে আমি সেটার জন্য প্রস্তুত থাকি। এর বাইরে কিছু নেই।'

'আমার কাছে মনে হয় এই জিনিসগুলো যদি ঠিক থাকে... আমি একটা সংস্করণের অধিনায়ক, যখনই আমার সহায়তার প্রয়োজন হয় সে করে। আমি আপনাকে এটা নিশ্চিত করছি সে যখন অধিনায়কত্ব করে এবং আমি টেস্ট খেলি কোনো পরামর্শের প্রয়োজন হলে আমি সবসময় আছি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এর বাইরে কিছু নেই।'

দুজনের মধ্যে বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আলোচনায় বসে  শেষ পর্যন্ত তা আর শেষ করা যায়নি। এসব সমঝোতা বৈঠকে কি হয়েছে তা বিস্তারিত বলতে চাইলেন না তামিম,  'যা হয়েছে, দুজন ব্যক্তির মধ্যে হয়েছে। তারা দলের গুরুত্বপূর্ণ দুজন। এটা ওই রুমেই আটকে থাকা দরকার। আমি এটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।'

তবে আগামীতে ব্যক্তিগত তেতো সম্পর্ক মধুর হয়ে যাওয়া অসম্ভব দেখেন না তিনি,  ' সম্ভব সবকিছুই। এভ্রিথিং ইজ পসিবল।'

Comments

The Daily Star  | English

Remittances grow 3% in January

Migrants sent home $2.18 billion in the first month of 2025

1h ago