দিয়াজ হত্যা মামলা

৬ বছর পর সিআইডির চূড়ান্ত প্রতিবেদন, জানাল মামলায় ‘তথ্যগত ভুল’

দিয়াজ ইরফান চৌধুরী। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

প্রায় ৬ বছর তদন্তের পর চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলায় তথ্যগত ভুল আছে।

আজ বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আবদুস সালাম মিয়া চট্টগ্রাম জেলা আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার শাওনেওয়াজ খালেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তথ্যগত ভুল উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য দিতে পারবেন না বলে জানান তিনি।

২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২ নম্বর গেট এলাকায় নিজ বাসা থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ২৩ নভেম্বর প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে 'আত্মহত্যা'উল্লেখ করেন।

তবে ওই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগের ১০ সদস্য ও সাবেক সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে দিয়াজের পরিবার।

এ মামলায় চবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জামশেদুল আলম চৌধুরী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, চবি ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু ও তার ভাই আরমান হোসেন এবং ছাত্রলীগ কর্মী রাশেদুল আলম জিসান, আবু তোরাব পরশ, মনসুর আলম, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ও আব্দুল মালেককে এ মামলায় আসামি করা হয়।

মামলার পর আদালত আবারও ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ মেনে, ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ মরদেহ উত্তোলন করে ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।

দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের পর ডা. সোহেল বলেন, 'দিয়াজের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।'

প্রথম ময়নাতদন্তে শ্বাসরোধে মারা গিয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

শুরু থেকে দিয়াজের পরিবার এ ঘটনাটিকে পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করলেও অভিযুক্তরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh lost over Tk 226,000cr for tax evasion: CPD

CPD estimated that around 50 percent of this amount has been lost to corporate tax evasion.

2h ago