মেসি-নেইমারকে ছেড়ে এমবাপেকে ধরে রাখার পরিকল্পনা পিএসজির!

নেইমারকে বেচে দেওয়ার জন্য এরমধ্যেই কয়েক দফা ইউরোপিয়ান ক্লাবদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছে পিএসজি। আর লিওনেল মেসির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের বিষয়টিও গিয়েছে ভেস্তে। এদিকে, কিলিয়ান এমবাপের আবার নতুন করে রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার গুঞ্জন চাউর হয়েছে। পুরো আক্রমণভাগকেই হারানোর শঙ্কায় রয়েছে ফরাসি ক্লাবটি।

ফরাসি টিভি চ্যানেল আরএমসি স্পোর্ত তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে মেসি বা নেইমার কাউকেই পিএসজির স্কোয়াডে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলটির পর্তুগিজ স্পোর্টিং ডিরেক্টর লুইস কাম্পোস। এমবাপেকে ঘিরেই আগামীর পরিকল্পনার ছক আঁকছেন তিনি।

মূলত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে হারের পরই পিএসজির দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে বলে দাবি করেছে চ্যানেলটি। ওই ম্যাচের শুরু থেকে মেসি ও নেইমার থাকার পরও ভুগেছে পিএসজি। এমবাপে নামার পরই গতি পায় তাদের খেলা। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। তবে দুইবার জালে বল জড়িয়েছিলেন এমবাপে। অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি।

আর গত বছর এমবাপের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের সময় মূল শর্ত ছিল যে পিএসজিতে থাকলে তিনিই হবেন দলের প্রধান তারকা। যে কারণে সেসময় রিয়াল মাদ্রিদের মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এই ফরাসি তরুণ স্ট্রাইকার। কিন্তু এমবাপেকে প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়টি ভালো দৃষ্টিতে দেখেননি মেসি-নেইমার কেউই। 

গত বুধবার সকালে পিএসজির মালিক নাসের আল খেলাইফির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন প্রসঙ্গে সরাসরি আলোচনা হয় মেসির বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসির। তবে সেটা ফলপ্রসূ হয়নি। মূলত বেতন-ভাতা ও চুক্তির সময়সীমা নিয়ে ঝামেলা বাঁধে। ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে ভাঙার অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে বেতন-ভাতা প্রদানে নিজেদের খরচ কমাতে চাইছে প্যারিসের ক্লাবটি।

আরএমসি স্পোর্ত তাদের প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছে, আগামী মৌসুমে মেসি বিনামূল্যে চলে গেলে খুব একটা অখুশি হবেন না কাম্পোস। সেক্ষেত্রে এমবাপের সঙ্গে নতুন চুক্তি করার বিষয়টি সহজ হবে তাদের জন্য। আর নেইমারকেও বেচে দেওয়ার জন্য আলোচনা চলছে অন্যান্য ক্লাবের সঙ্গে। অবশ্য উচ্চ বেতনের জন্যই নেইমারকে ছেড়ে দিতে চাইছে তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles, vandalise property

1h ago