ফাইনালে উঠে ট্রলের জবাব দিলেন পিএসজির কোচ

luis enrique

ফ্রান্সের শীর্ষ লিগে নিয়মিত চ্যাম্পিয়ন হয় প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি), তবে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ না থাকায় তাদের এসব সাফল্যকে দেখা হয় বাঁকা চোখে। ফরাসি লিগকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল করে ডাকা হয়, 'ফারমার্স লিগ' বলে। সেটা যে তাদের আহত করে তা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠে বুঝিয়ে দিলেন পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে।

বুধবার রাতে ঘরের মাঠ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। আগের লেগে আর্সেনালের মাঠে গিয়েও ১-০ গোলে জিতে এসেছিলো তারা। এবার ইউরোপ সেরার আসরে ফাইনালে যাওয়ার পথে তিন ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল, অ্যাস্টন ভিলার পর আর্সেনালকে পরাভূত করে তারা। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে ফাইনালে উঠার পর এনরিকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে বলেন, 'ফারমার্স লিগ, তাই তো? আমরা ফারমার্স লিগ…?' এমন শ্লেষ মেশানো প্রশ্নে যেন ট্রলের জবাব দিতে চান তিনি।

দ্রুতই নিজেকে সামলে এরপর স্বাভাবিক ভঙ্গিতে এনরিকে বলেন, 'এটা (জয়) দারুণ ছিলো, আমরা সাফল্য উপভোগ করছি। সবাই আমাদের বাহবা দিচ্ছে।'

স্কোরলাইন বলছে জয় অনেকটা অনায়াসেই এসেছে। তবে ফাইনালে উঠে এনরিকে বললেন খেটেই কঠিন পথ পাড়ি দিয়েছেন তারা, 'দুই লেগ মিলিয়ে আমরা তাদের চেয়ে বেশি গোল করেছি এবং ফুটবলে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আর্সেনাল দারুণ খেলেছে এবং আমরা অনেক ভুগেছি।'

বুধবার রাতে ২৭ মিনিটে ফ্যাবিয়ান লুইজের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি, ৭২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আশরাফ হাকিমি। ৭৬ মিনিটে বুকায়ো সাকা এক গোল শোধ দিলেও লাভ হয়নি। তীব্র চ্যালেঞ্জ আর জানাতে পারেনি আর্সেনাল। তবে এনরিকে এই ম্যাচকেই সবচেয়ে ভোগান্তির বলে রায় দিলেন, 'চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটাই সেই ম্যাচ যেখানে আমরা সবচেয়ে বেশি ভুগেছি, কিন্তু ফাইনালে যাওয়া আমাদের প্রাপ্য।'

'পরিসংখ্যান দেখিয়েছে যে আমরা ইউরোপের অন্যতম সেরা দল ছিলাম, এবং যখন আমরা আরও বেশি ক্লিনিক্যাল হতে শুরু করি, একটি ছোট প্রতিযোগিতায়, আমি মনে করি আমরা দেখিয়েছি যে আমরা ফাইনালে থাকার যোগ্য।'

আগামী ১ জুন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে পিএসজি। তাদের সামনে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার হাতছানি।

Comments

The Daily Star  | English

No sharp rise in crime, data shows stability: govt

The interim government today said that available data does not fully support claims of a sharp rise in crimes across Bangladesh this year

15m ago