ঢাবিতে ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্র অধিকারের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত

ছাত্রলীগ, ছাত্র অধিকার পরিষদ, টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,
হামলায় আহত একজনকে বাইরে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে 'কুমিল্লার বিজয় উদযাপনের অজুহাতে' ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ঢাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এই হামলায় ছাত্র অধিকারের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রলীগ দাবি করেছে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্র অধিকারের হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আজ শুক্রবার সকাল পৌঁনে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্র অধিকার পরিষদ পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি উদযাপন করতে গেলে তাদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল ১০টার আগে ঢাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা টিএসসিতে অবস্থান নেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে পূর্বনির্ধারিতি কর্মসূচি পালনে সেখানে আসেন ছাত্র অধিকারের নেতাকর্মীরা। কিন্তু, টিএসসির প্রবেশমুখে তাদের বাধা দেয় ছাত্রলীগ। তখন ছাত্র অধিকার স্লোগান দিতে থাকে। এসময় কুমিল্লার ভিক্টোরিয়ানসের জয় উদযাপনের কথা বলে পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা 'কুমিল্লা, কুমিল্লা' স্লোগান দেওয়া শুরু করে। সেখানে প্রায় ১০ মিনিট মুখোমুখি স্লোগান দেয় দুই সংগঠন। পরে ছাত্র অধিকারের নেতাকর্মীরা রাজু ভাস্কর্যের দিতে যেতে শুরু করলে ছাত্রলীগ হামলা চালায়। এতে ছাত্র অধিকারের অন্তত ১০ জন আহত হয়।

আহতদের মধ্যে আছেন- ছাত্র অধিকারের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আখতার হোসেন ও ইউনুস।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাধারণ শিক্ষার্থীরা কুমিল্লার জয় উদযাপন করছিল। তারাই স্লোগান দিচ্ছিল। সেখানে ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচি ছিল না। বরং, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা জয় উদযাপন হারাম বলে হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ২ জন আহত হয়েছেন।'

ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, 'আমরা আমাদের পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান ছিল। আমরা টিএসসিতে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা করে। আমাদের অনেকে আহত। আমি নিজেও আহত। আমরা হাসপাতালে যাচ্ছি।'

ছাত্রলীগের একটি সূত্র ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে, ছাত্র অধিকারের আজকের কর্মসূচি প্রতিহত করতে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছিল।

Comments