‘পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’
'পাল্টা কর্মসূচি' দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, 'আপনারা লক্ষ্য করবেন তারা (আওয়ামী লীগ) মনে হয় বিরোধী দল হয়ে গেছে, তাদের ভূমিকা দেখলে মনে হয় আওয়ামী লীগ সরকারে নাই, বিরোধী দলের।'
'বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিচ্ছে তারা (আওয়ামী লীগ) পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে, বিএনপি কর্মসূচি দিচ্ছে, তারা প্রতিবাদ কর্মসূচি দিচ্ছে, বিএনপি কর্মসূচি দিচ্ছে তারা নাকি শান্তি কর্মসূচি দিচ্ছে। আমরা বলতে চাই, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে বাধা দেওয়া চলবে না। লাখো জনতা রাস্তায় নেমে প্রমাণ করেছে গুলি করে, হত্যা করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে, গায়েবি মামলা দিয়ে গণজোয়ার বন্ধ করা যাবে না।'
আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের প্রতি ইঙ্গিত করে আমীর খসরু বলেন, 'আরে মশাই বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কি বন্ধ করে দিয়েছেন নাকি? পুলিশ কি বন্ধ করে দিয়েছে? পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এতগুলো লোক বাংলাদেশের ট্যাক্সের টাকায় জনগণ তাদের চাকরিতে রেখেছে, তাদের কি কোনো কর্ম নেই?'
'বিএনপির কর্মসূচির বিপরীতে আওয়ামী লীগের এই পাল্টা কর্মসূচি থেকে বোঝা যায় যে, তাদের রাজনৈতিক দৈন্যতা এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে যে, তারা পাল্টা কর্মসূচি দিয়েও জনগণকে আকৃষ্ট করতে পারছে না, বিএনপির কর্মসূচিকে তারা বাধাগ্রস্থ করার চেষ্টা করছে।'
তিনি বলেন, 'আমরা বলতে চাই, যতই পাল্টা কর্মসূচি দেন, শান্তি সমাবেশ দেন, যতই জনগণের সম্পদ রক্ষার কথা বলেন আপনারা জনগণের কাছে হাস্যসকর হিসেবে পরিচিতি হয়েছেন। দেশের মানুষ আপনাদের কর্মসূচি দেখে হাসে।'
'কারণ আপনাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। আপনারা রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত হয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে এখন পুলিশের আশ্রয় নিচ্ছেন, র্যাবের আশ্রয় নিচ্ছেন, বিজির আশ্রয় নিচ্ছেন, আদালতের আশ্রয় নিচ্ছেন। আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছেন।'
এ ছাড়া ক্ষমতাসীনরা লুটপাট ও দুর্নীতি করে দেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার করছে অভিযোগ তুলে ভবিষ্যতে-এর বিচার করা হবে বলে মন্তব্য করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষের সম্পদ চুরি করে বাইরে নেওয়ার হিসাব আগামী দিনে অবশ্যই আপনাদের দিতে হবে। কানাডায় পাচারের টাকা ফেরত দিতে হবে, বিদেশে পাচারের টাকা ফেরত দিতে হবে, দুবাইয়ের টাকা ফেরত দিতে হবে।'
'এটা অব্যাহতভাবে আর চলতে দেওয়া হবে না। জনগণ এই সরকারকে বিদায় করতে রাজপথে নামতে শুরু করেছে, জেগে উঠছে তারা।'
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (জেটেব)-এর উদ্যোগে বিদ্যুত, গ্যাস, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং সরকার পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা এই সমাবেশের আয়োজন করে।
জেটেবের সভাপতি ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব কাজী সাখাওয়াত হোসেন বাবুলসহ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা সমাবেশে বক্তব্য দেন।
Comments