চুল কেটে ৩ শিশুকে নির্যাতন

এমপির তদবির ও মেয়রের হুমকি, আপসে যেতে চায় ভুক্তভোগী পরিবার

এমএ হালিম সিকদার
মেয়র হালিম সিকদার। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে 'চুরির অপবাদে' ৩ শিশুর চুল কেটে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি গোপালদী পৌর মেয়র হালিম সিকদার ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে হুমকি দেওয়াসহ নানাভাবে প্রভাবিত করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবার গণমাধ্যমে কথা বলতেও শঙ্কিত বোধ করছেন বলেও জানান।

গত সোমবার সকালে পৌর মেয়রের বাড়ির পাশে পড়ে থাকা পাওয়ার লুম (তাঁত) কারখানার মেশিনের একটি চেইন কুড়িয়ে হাতে নেওয়ায় ৩ শিশুকে 'চোর অপবাদ' দিয়ে হাত বেঁধে পুরো গ্রাম ঘুরিয়েছেন হালিম সিকদার। পরে তাদের চুলও কেটে দেন তিনি। এই কথা তিনি গণমাধ্যমে স্বীকারও করেছেন। 'চুরি' করায় সামান্য শাস্তি দিয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন ওই মেয়র।

ভুক্তভোগী পরিবার জানিয়েছে, মেয়রের প্রভাবের কথা ভেবে ঘটনার পরেও তারা আইনগত কোনো ব্যবস্থা নিতে চাননি।

তবে ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে এ নিয়ে আলোড়ন তৈরি হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা রেকর্ড হয়। ওই মামলার বাদী হন ভুক্তভোগী শিশুদের এক অভিভাবক।

মামলায় মেয়র ও তার ৩ সহযোগীকে আসামি করা হয়। মামলার পর ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনো অধরা রয়েছেন পৌর মেয়র।

জানা গেছে, মামলা করার ১ দিন পরই তা তুলে নেওয়ার জন্য আদালত প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়াতে বাধ্য হচ্ছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। গতকাল নিজ খরচে মাইক্রোবাসে করে ভুক্তভোগী শিশু ও তার পরিবারের সদস্যদের আদালতে নিয়ে আসেন মেয়র হালিম সিকদার ও তার লোকজন। গতকাল শুনানি না হওয়ায় আজও একইভাবে তাদের আদালতে নেওয়া হয়। তবে, আজও এই মামলার শুনানি হয়নি।

যদিও পুলিশ জানিয়েছে মামলার প্রধান আসামি পৌর মেয়র হালিম সিকদার পলাতক রয়েছেন, তবে বুধবার সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালত প্রাঙ্গণে দেখা গেছে। সেই সময়ের মধ্যে তাকে আদালত প্রাঙ্গণের বাইরে আইনজীবী ফজলে রাব্বীর চেম্বারে যেতেও দেখা গেছে। পরে তিনি স্থানীয় একটি চা দোকানে দীর্ঘসময় বসে ছিলেন। আজও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি আদালত প্রাঙ্গণেই ছিলেন।

আইনজীবী ফজলে রাব্বী নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর ছোট বোনের স্বামী। গতকাল এমপি বাবুও অন্তত ৬ ঘণ্টা আদালত প্রাঙ্গণে ছিলেন।

আদালতের একাধিক আইনজীবী ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল সকাল ১০টার দিকে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালত প্রাঙ্গণে আসেন। প্রথমে তিনি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যান। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলাপ করেন। পরে যান জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। দুপুরে তিনি জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালেও যান। জেলা জজের সঙ্গে অন্তত ১০ মিনিট একান্তে আলাপ করেন ওই সংসদ সদস্য। বেরিয়ে এসে দীর্ঘক্ষণ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির (পিপি) কক্ষেও ছিলেন তিনি। ওই সময় এমপির সঙ্গে পিপি ছাড়াও একাধিক আইনজীবীর আলাপ হয়। মামলা প্রসঙ্গেও তিনি কথা বলেন।

হালিম সিকদার আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভা মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। অপরদিকে নজরুল ইসলাম বাবু ওই এলাকার সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। 
স্থানীয়রা জানান, হালিম সিকদার সংসদ সদস্যের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

গতকাল পৌর মেয়র ও এমপির একই সময়ে আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হওয়ার পর পরই গুঞ্জন ওঠে মেয়রের আগাম জামিনের ব্যবস্থা করতেই তারা আদালতে এসেছেন। সংসদ সদস্যের বোনজামাইয়ের চেম্বারে মেয়রের যাতায়াত এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির কক্ষে সংসদ সদস্যের দীর্ঘসময় অবস্থান আদালত পাড়ায় এই গুঞ্জন আরও শক্তিশালী করে তোলে। তবে শেষ পর্যন্ত জামিন আবেদন না করেই বিকেল ৩টায় আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন মেয়র। তার কিছুক্ষণ পর এমপিও আদালত এলাকা ছেড়ে চলে যান।

গতকাল বিকেলে সর্বশেষ নারী ও শিশু আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির কক্ষে ছিলেন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু। সেখান থেকে বেরিয়ে আদালত প্রাঙ্গণেই সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'মেঘনা নদীতে ফেরিঘাটের একটি প্রকল্পের ব্যাপারে আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। আর নারী ও শিশু আদালতে গিয়েছিলাম পিপির সঙ্গে এমনিতে দেখা করতে। কোনো মামলা প্রসঙ্গে আসিনি।'

পৌর মেয়রের ঘটনায় তদবিরের গুঞ্জন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'পত্রিকা পড়ে জেনেছি যে একটি মামলা হয়েছে। এর জন্য সাংবাদিকরা দায়ী। আপনারা ওসিকে ধমক দিছেন। ভয়ের চোটে ওর (মেয়র) বিরুদ্ধে মামলা হইছে।'

'বাচ্চাদের সঙ্গে এই আচরণ কেউ কখনো করে না। কিন্তু শাসন ও আদর না থাকলে কিন্তু সভ্যতা গড়ে ওঠে না। কিছু কিছু বিষয় শাসনের আওতায় পড়ে, আবার কিছু বিষয় আছে শোষণ। মেয়রের বাড়ির পাশেই ওই ছেলের বাড়ি। তার বাপ-মা মেয়রের বাড়িতে কাজ করে। তার পোলা যদি তার মাল চুরি করে, তাহলে এইটা ওয়ান কাইন্ড অব শাসন করেছেন তিনি', বলেন তিনি।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি রকিবউদ্দিন আহমেদ গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হঠাৎ সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু আমার কক্ষে আসেন। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ বসে থাকেন। তার সঙ্গে কয়েকজন আইনজীবীও দেখা করেন। এর আগে তিনি জজ সাহেবের সঙ্গেও দেখা করেন। কিন্তু মামলার বিষয়ে তার সঙ্গে আমার কোনো আলাপ হয়নি।'

মামলার বিষয়ে কোনো আলাপ হয়নি বলে জানান জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজও। গতকাল ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'স্থানীয় একটি স্কুলের বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন। মামলা নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা হয়নি। তবে আমরা শিশুদের ওই ঘটনাটি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে তদন্তও চলছে।'

সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংসদ সদস্যের বাড়িতে তার সঙ্গে দেখা করেন মেয়র হালিম সিকদার। সেখানে মামলা নিয়ে আলাপ করেন তারা। বুধবার আদালত প্রাঙ্গণেও তাদের আলাপ হয়েছে। নজরুল ইসলাম বাবু তার বোনজামাই ফজলে রাব্বীকে মেয়রের মামলাটি দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।'

গতকাল ফজলে রাব্বি বলেন, 'সংসদ সদস্যের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তবে মেয়রের প্রসঙ্গে কোনো আলাপ হয়নি।' আজ তিনি বলেন, 'আমরা আসামির জামিন আবেদন আজও আদালতে জমা দিতে পারিনি।'

গতকাল আদালত প্রাঙ্গণে কথা হলে বিএনপিপন্থি ২ আইনজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'শিশু আইনের ৭০ ধারা জামিন অযোগ্য ধারা। মেয়রকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি রয়েছে পুলিশের হাতে। মামলার বাইরে জেলা প্রশাসন এটির তদন্ত করছে। আত্মসমর্পণ করে জামিন চাওয়ার ক্ষেত্রে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাঁড়াতে হবে। মামলাটির বিচার হবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এবং শিশুদের পক্ষে থাকবেন এই আদালতের পিপি। এই ঘটনায় যারা যারাই মেয়রের গ্রেপ্তার ও বিচারের সঙ্গে যুক্ত আছেন বা থাকবেন, গতকাল সংসদ সদস্য তাদের সবার কক্ষেই গিয়েছেন। ফলে মেয়রের জন্য তদবিরের যে আলাপ, তা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বরং ওই গুঞ্জনের দিকেই যায় সবকিছু।'

ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, স্থানীয় সংসদ সদস্যও প্রভাবশালী মেয়রের পক্ষে থাকায় তারা মীমাংসার বাইরে অন্য কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছেন না। আদালতে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য গতকাল ও আজ তাদের আদালতেও নিয়ে আসেন মেয়র ও তার লোকজন।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, আদালতে দাঁড়িয়ে মেয়র তাদেরকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য সাক্ষ্য দেওয়ার নির্দেশ দেন। তবে, গতকাল ও আজ এই মামলার কোনো শুনানি হয়নি বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিশুর অভিভাবক ডেইলি স্টারকে জানান, গতকাল সকালে গ্রাম থেকে মেয়রের ভাড়া করা এক মাইক্রোবাসে করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে আনা হয় ৩ শিশুসহ তাদের অভিভাবককে। তাদের সঙ্গে পৌর মেয়র হালিম সিকদার ও তার সহযোগীরাও ছিলেন। সকাল সোয়া ৮টায় রওয়ানা হয়ে তারা ১০টা নাগাদ আদালতে পৌঁছান। কিছুক্ষণ পর আদালতে আসেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুও। তিনি মেয়র হালিম সিকদারের পক্ষে তদবির করতে প্রশাসনিক ও বিচারিক বিভিন্ন দপ্তরে যান।

ওই অভিভাবক আরও বলেন, 'আমরা তো মামলাই করতে চাইনি। তারা প্রভাবশালী মেয়র-এমপি মানুষ, তাদের বিরুদ্ধে তো আমরা কখনই যেতে পারমু না। তারপরও এখন মামলা হওয়ায় পড়ছি আরও ঝামেলায়। এখন মীমাংসার জন্য চাপ দিতেছে। গতকাল আমাগো সবারে গাড়িতে কইরা মেয়র ও তার লোকজন আদালতে নিয়া গেছে। ওইখানে বিকেল ৪টা পর্যন্ত থাকছি। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট নাকি আসে নাই। এই কারণে কাজ হয় নাই। আজও মামলার শুনানি হয়নি। আমরা আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি।'

'মেয়র সাহেব যেন মামলা থেইকা বাইর হইতে পারেন, সেই সাক্ষী আমাগো দিতে হইবো। আর যে ২ জন গ্রেপ্তার হইছে, তাগোও ছাড়ানো লাগবো। আমরা কোনো ঝামেলা চাই না। বাড়ির পাশের মানুষ। তারা বারবার বললে তো তাগো কথা ফালাইয়া দেওয়ার সাহস পাই না। গ্রামের মানুষ আমরা, তারা তো ক্ষমতাধর। ঘরবাড়িতে থাকতে হইলে মীমাংসাই একমাত্র পথ। গ্রামের রাজনীতি আর শহরের পরিস্থিতি এক না। তাগো বিরুদ্ধে গিয়া গ্রামে থাকা যাইবো না', বলেন তিনি।

এই অভিভাবক আরও বলেন, 'আমার ছেলের মানসিক অবস্থা ভালো না। ভয় তো কাটে নাই। এই ভয় কাটতে সময় লাগবো। এই কথা তো কেউ ভুইলা যাইবো না। ছেলের খেলার সাথীরা ওরে খেপাইবো। আজীবনের কলঙ্ক থাইকা গেল। আমাদের সঙ্গে অন্যায় হইলো, আবার আমাদেরই আপস করতে হইতেছে। আমরাই আদালতে গিয়া পইড়া থাকতাছি।'

মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী এক শিশুর পিতা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এইটা একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। আমি লেখাপড়া জানি না। না বুইঝা মামলা করছি। আপনেরা সাংবাদিক, আপনেরা সবই জানেন, বোঝেন। আমাগো কোনো কথা নাই। আমরা মামলা তুইলা নিমু, মেয়র সাহেব যাতে ঝামেলায় না পড়েন, সেই কাজই আমরা করমু। এর বাইরে কোনো কথা নাই।'

গত মঙ্গলবার সকালে ৩ শিশুর মধ্যে ১ শিশুর পিতা বাদী হয়ে শিশু আইন-২০১৩ সালের ৭০ ধারায় একটি মামলা করেন। মামলা দায়েরের ২ দিন পেরিয়ে গেলেও ২২ ধারায় ভুক্তভোগী শিশুদের জবানবন্দি নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়নি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিশু আইনে মামলা করলে প্রথম কাজ হচ্ছে ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। কোথাও কোনো আঘাত আছে কি না, তা জানতে হবে। তারপর অতিসত্বর ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি নেওয়ার ব্যবস্থা করবে। এরপর অভিভাবক চাইলে তাদের জিম্মায় অথবা সেফ হোমে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এই কাজগুলো সম্পাদন করবে পুলিশ প্রসিকিউশন।'

এই বিষয়ে জানতে চাইলে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ৩ শিশুকে একদিনে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের ব্যবস্থা করব। আর শিশুদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন না থাকায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন পড়েনি।'

মেয়র আদালত প্রাঙ্গণে থাকলেও তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি, জানতে চাইলে ওসি বলেন, 'আমরা তো জানি না যে তিনি আদালত প্রাঙ্গণে ছিলেন কি না। আমরা তাকে দেখিনি। আমাদের জানামতে তিনি পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Nahid warns against media intimidation, vows stern action

The government will take stern action against those trying to incite violence or exert undue pressure on the media or newspapers, said Information Adviser Nahid Islam today

2h ago