চবিতে আন্দোলনরত চারুকলার শিক্ষার্থীদের ব্যানার-ফেস্টুন কেড়ে নিলো ছাত্রলীগ

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থীর হাত থেকে প্ল্যাকার্ড কেড়ে নিচ্ছেন এক ছাত্রলীগকর্মী। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের ব্যানার-ফেস্টুন কেড়ে নিয়েছে। এ সময় আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগও উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। 

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

চারুকলা শিক্ষার্থীদের মূল ক্যাম্পাসে ফেরার আন্দোলনের শততম দিন উপলক্ষে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা ছিল চারুকলার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে চারুকলার শিক্ষার্থীরা মূল ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের উপপক্ষ 'বাংলার মুখ' ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস উপপক্ষের ২০/২৫ জন নেতাকর্মী সেখানে যান৷ এরপর বাংলার মুখ উপপক্ষের কর্মী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য শৈবাল ইসলাম চারুকলার শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি বন্ধ করে দিতে বলেন।

এ সময় শৈবাল তার অনুসারীদের আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে ফেস্টুন ছিনিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

আন্দোলনরত চারুকলা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী জহির রায়হান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '২০-২৫ জন ছেলে এসে আমাদের আন্দোলন বানচাল করার চেষ্টা করেছেন৷ আন্দোলনরত কয়েকজনকে মারধরও করেছেন৷ ব্যানার-ফেস্টুন ছিনিয়ে নিয়েছেন৷ এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা সাড়া দেয়নি।'

প্রশাসনের ইন্ধনেই এমনটা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

তবে আন্দোলনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ভার্সিটি এক্সপ্রেস উপপক্ষের নেতা ও ছাত্রলীগের সহসভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন, 'আমাদের কোনো নেতাকর্মী চারুকলার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গিয়ে বাধা দেননি। যদি এমন অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

একই কথা বলেন বাংলার মুখ উপপক্ষের নেতা ও সহসভাপতি আবু বকর তোহা।

আর ছাত্রলীগকে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহীদুল ইসলাম বলেন, '৩ মাসের বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে৷ এখন পর্যন্ত প্রশাসন তাদের সঙ্গে বিনয়ী আচরণ করেছে৷ আন্দোলন বন্ধ করার জন্য কোনো ইন্ধন আমরা দেইনি।'

Comments

The Daily Star  | English

Nahid warns against media intimidation, vows stern action

The government will take stern action against those trying to incite violence or exert undue pressure on the media or newspapers, said Information Adviser Nahid Islam today

1h ago