ফেরদৌসের উপন্যাস কিনতে বইমেলায় সোহানা সাবা

ফেরদৌস ও সোহানা। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী সোহানা সাবা দীর্ঘ ৯ বছর পর বইমেলায় এসেছিলেন গতকাল বুধবার। এত বছর পর বইমেলায় এসে আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি।

দ্য ডেইলি স্টারকে সোহানা সাবা বলেন, 'ওই সময় আমার সন্তান গর্ভে ছিল। অন্যরকম অনুভূতি কাজ করেছিল। ৯ বছর পর মেলায় এসে সেদিনের স্মৃতি চোখে ভাসছে। খুব ইমোশনাল হয়ে পড়ছি।'

'বইমেলা হচ্ছে লেখক-পাঠক ও প্রকাশকের মিলনমেলা। কী যে ভালো লাগছে অসংখ্য মানুষের বই কেনা দেখে, তাদের ঘুরে বেড়াতে দেখে! এতদিন না এসে মিস করেছি। আশা করছি আবারও আসব', বলেন তিনি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলায় ঢুকেই সোহানা সাবা তার প্রিয় বন্ধু নায়ক ফেরদৌসের লেখা বই কেনেন। ফেরদৌসের সঙ্গে কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনয় করতে গিয়েই গড়ে উঠেছিল বন্ধুত্ব।

সোহানা সাবা বলেন, 'ফেরদৌস তার প্রথম উপন্যাস "এই কাহিনি সত্য নয়" প্রকাশের আগেই গল্পটি একদিন শুটিংয়ে বলেছিলেন। সেই সময় থেকেই তাকে উৎসাহ দিতাম। সেজন্য তার বই প্রকাশের পর মেলায় এসে সংগ্রহ করে ভালো লাগছে। বইটি মন দিয়ে পড়ব।'

সোহানা সাবা। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'ফেরদৌস তার বইয়ের ভূমিকাতে আমার নাম দিয়েছে। আমি তো অবাক! আবার একইসঙ্গে আমি মুগ্ধ। আমি চাই তিনি নিয়মিত লিখবেন।'

লেখকদের উদ্দেশে সোহানা সাবা বলেন, 'লেখালেখিটা ভীষণ পরিশ্রম ও ধৈর্য্যের কাজ। যারা এত কষ্ট ও পরিশ্রম করে লিখছেন, তাদেরকে স্যালুট। তারা বাংলা ভাষার জন্য লিখছেন। তারা জাতি গঠনে কাজ করছেন।'

পেছনের স্মৃতি শেয়ার করে চলতি সময়ে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী, উপস্থাপিকা ও নৃত্যশিল্পী বলেন, 'একটা সময়ে ৩ গোয়েন্দা সিরিজের অসম্ভব ভক্ত ছিলাম। বহুদিন ৩ গোয়েন্দা সিরিজ পড়েছি। বলতে পারি এগুলো পড়ে বড় হয়েছি।'

শোবিজে কাজ করার পাশাপাশি সোহানা সাবা মাঝে মাঝে লেখালেখিও করেন। সেসব লেখা ভক্তদের কথা ভেবে ফেসবুকে কখনো কখনো শেয়ার করেন। বই লেখার ইচ্ছে আছে কি না? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'ইচ্ছে তো আছেই। দেখা যাক। বই হতেও পারে।'

অন্যদিকে প্রিয় বন্ধুর বই কেনা ছাড়াও আরও বেশ কিছু বই কেনেন তিনি। বই পড়ার বিষয়ে বলেন, 'বই পড়ার মতো ভালো কাজ আর কী হতে পারে?'

উল্লেখ্য, সোহানা সাবা অভিনীত ৩টি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে, যা চলতি বছরই মুক্তি পাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh lost over Tk 226,000cr for tax evasion: CPD

CPD estimated that around 50 percent of this amount has been lost to corporate tax evasion.

3h ago