হাথুরুসিংহের কাছে নিশ্চয়ই জাদুর কাঠি আছে: সালাউদ্দিন

চুক্তির মাঝপথে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া এই কোচকে ফের নিয়ে আসা যে খুব একটা ভালো চোখে দেখছেন না, তা বুঝিয়ে দিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। সেইসঙ্গে জাতীয় দলের সহকারি কোচ হওয়ার অনীহাও প্রকাশ করেছেন তিনি।
Mohammad Salauddin
কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন

সাড়ে পাঁচ বছর পর আবার বাংলাদেশের প্রধান কোচ হয়ে ফিরছেন শ্রীলঙ্কান চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। চুক্তির মাঝপথে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া এই কোচকে ফের নিয়ে আসা যে খুব একটা ভালো চোখে দেখছেন না, তা বুঝিয়ে দিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। সেইসঙ্গে জাতীয় দলের সহকারি কোচ হওয়ার অনীহাও প্রকাশ করেছেন তিনি।

২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের কোচ ছিলেন হাথুরুসিংহে। ২০১৯ পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও একটি সিরিজের মাঝপথে পদত্যাগ করে বসেন তিনি। তার অধীনে বাংলাদেশে সেরা কিছু সাফল্য পেলেও তার চলে যাওয়া নিয়ে আছে অনেক বিতর্ক।

সেই কোচকেই আবার নতুন দফার চুক্তিতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। চলতি মাস থেকেই দুই বছরের চুক্তিতে পুরনো চাকরিতে যোগ দেবেন হাথুরুসিংহে।

তবে এই কোচকে ফিরিয়ে আনা নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা দিচ্ছেন মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তার কোচিং দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও ম্যান ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সংশয় দূর হচ্ছে না।

দেশের ক্রিকেটে অন্যতম বড় কোচ সালাউদ্দিন। জাতীয় দলের সহকারি কোচ হিসেবেও একটা সময় কাজ করেছেন তিনি। শনিবার বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে আসার পর হাথুরুসিংহের ফেরা প্রসঙ্গে কথা বলেন সালাউদ্দিন। তার মতে অনেকটা মরিয়া হয়ে ফেরানো হচ্ছে এই কোচকে,  'আমার কাছে মনে হয়, আমরা যেভাবে হাথুরুসিংহেকে চেয়েছি, তাহলে তার কাছে নিশ্চয়ই অনেক জাদুর কাঠি আছে। কারণ তা না হলে আসলে এভাবে আমরা... কেউ একজন হঠাৎ করে চলে গেছে, তাকে আবার আমরা জোর করে আনছি। নিশ্চয়ই জাদুর কাঠি কিছু আছে। তা আপনারাই ভালো বলতে পারবেন, আমি জানি না। তবে নিশ্চয়ই সবাই আশা করে অনেক ভালো ফল হবে।'

হাথুরুসিংহের একাধিক সহকারি কোচ নিয়োগ দেওয়ার চিন্তা করছে বিসিবি। সেই জায়গায় বাংলাদেশের কেউও থাকতে পারেন। সহকারি কোচের ভূমিকায় জাতীয় দলে ফেরা প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে স্পষ্ট অনীহা জানান সালাউদ্দিন,  'আমার মনে হয়, বোর্ডের যারা চাকুরে আছে, তাদের থেকে নিলে (সহকারি কোচ) সবচেয়ে ভালো হয়। তারা অনেক দিন ধরে বোর্ডে কাজ করছেন। বিভিন্ন কোচের সঙ্গে কাজ করছেন। তারা আসলে হাথুরুসিংহের সম্পর্কে জানে। তারা হয়তো তাকে বেস্ট সার্ভটা করতে পারবেন।'

জাতীয় দলে কাজ করার অনীহার কারণ হিসেবে ডেভোলাপমেন্ট পর্যায়ের খেলোয়াড়দের না চেনার কারণও জানান কুমিল্লার কোচ,  'আমি আসলে ডেভেলপমেন্টের ছেলেদের চিনি না, এমনকি এইচপির ছেলেদেরও চিনি না। আমার একটা জায়গায় কাজ করতে হলে সব নলেজ লাগবে এবং সেই কোচটা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। হাথুরুসিংহের মানসিকতা কেমন, সে কেমন কোচ তা আমি জানি না। আমি যার সঙ্গে কাজ করব তার ব্যাপারে আমার জানা দরকার। কারণ আমার এখন যে বয়স, নিজে থেকে মানিয়ে কাজ করার মানসিকতা আমারও আছে কি না আমি জানি না। কারণ গত ৫-১০ বছর ধরে প্রধান কোচ হিসেবে আমি নিজেই কাজ করছি। এখন সহকারি কোচের ভূমিকা আমি পারব কি না, আমার সেই সার্বিক ক্ষমতা আছে কি না সেটাও দেখতে হবে। কারণ সহকারি কোচদের কাজ অনেক বেশি। তো বোর্ডে যারা চাকরি করেন, তাদের মধ্যে থেকে দিলে তারা বেস্ট রেজাল্টটা পাবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

5h ago