ফাইনালে শেষ ওভারের আগে মাশরাফি বোলিংয়ে আসেননি কেন?

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মাশরাফি বিন মর্তুজা যতক্ষণে আক্রমণে গেলেন, ততক্ষণে ম্যাচের ফয়সালা প্রায় হয়েই গেছে। ফাইনালের শেষ ওভারে বল হাতে তুলে নিয়ে কেবল দলের হারের আনুষ্ঠানিকতা সারলেন তিনি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে কেন এর আগে বোলিংয়ে দেখা গেল না তাকে? পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক দিলেন সব কৌতূহলের জবাব।

গতকাল বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের নবম আসরের ফাইনালে সিলেটকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আগে ব্যাট করে ১৭৫ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছিল মাশরাফিবাহিনী। ৪ বল হাতে রেখে ওই রান পেরিয়ে যায় ইমরুল কায়েসের দল। টানা দ্বিতীয়বারের মতো কুমিল্লা চ্যাম্পিয়ন হয় বিপিএলে। আসরের সফলতম দলের এটি সব মিলিয়ে চতুর্থ শিরোপা।

লক্ষ্য তাড়ায় ৩৪ রানে ২ উইকেট খুইয়ে ফেলেছিল কুমিল্লা। এরপর ৫৭ বলে ৭০ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিতে তাদেরকে জয়ের কক্ষপথে আনেন লিটন দাস ও জনসন চার্লস। লিটন ফিরলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের চার্লস হয়ে ওঠেন বিধ্বংসী। মইন আলিকে নিয়ে মাত্র ৪০ বলে ৭২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ শেষ করে দেন তিনি। তবে শেষ ওভার বাদে কুমিল্লার ইনিংসের কোনো পর্যায়েই বোলিংয়ে দেখা যায়নি মাশরাফিকে। দুটি ডেলিভারি করার সুযোগ মেলে তার। প্রয়োজনীয় ৩ রান তুলে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে উল্লাসে মাতে কুমিল্লা।

চোটের কারণে ফাইনালে বল করার মতো শারীরিক পরিস্থিতিতে ছিলেন না বলে জানান সিলেটের দলনেতা, 'আগের দিন (দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে) দুই ওভার করার পর আরেকটি ওভার (করা) খুব প্রয়োজন ছিল বলে (বল) করতে এসেছি। তবে দুই ওভার করার পরই বুঝতে পেরেছিলাম, চোটে পড়ার সুযোগ আছে। তবু দলের প্রয়োজনে এসেছিলাম (বোলিংয়ে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ দিনেই চোট (হয়ে গেল)।'

শুরুতে তানজিম হাসান সাকিব যখন মার খান, তখন মাশরাফি পারেননি বোলিংয়ে যেতে। শেষদিকে চার্লস যখন তাণ্ডব চালান, তখনও একই চিত্র। মাশরাফি মনে করেন, তিনি আক্রমণে যেতে পারলে দলের সুবিধা হতো, 'আজকে (বৃহস্পতিবার) উইকেট স্টিকি ছিল কখনও কখনও (বল থেমে আসছিল ব্যাটে)। হয়তো বল করতে পারলে… ভালো-খারাপের কথা তো বলা যায় না। তবে সুবিধা হতো আর কী।'

তরুণ পেসার সাকিব ৪ ওভারে খরচ করেন ৫০ রান। অভিজ্ঞ পেসার রুবেল হোসেনের ৪ ওভার থেকে আসে ৩৯ রান। কুমিল্লার ইনিংসের ১৭তম ওভারে তিনি দেন ২৩ রান। ওই ওভারে চার্লস মারেন দুই ছক্কা ও এক চার। ইংল্যান্ডের মইনের ব্যাট থেকে আসে এক ছক্কা। তখন থেকেই ম্যাচ থেকে ধীরে ধীরে ছিটকে যেতে থাকে সিলেট। শেষ পর্যন্ত ভেঙে যায় প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠা দলটির শিরোপা জয়ের স্বপ্ন।

সদ্যসমাপ্ত বিপিএলে ১৪ ম্যাচে ৭.৬৭ ইকোনমিতে ১২ উইকেট নেন মাশরাফি। এক সময় উইকেটশিকারিদের তালিকার শীর্ষেও ছিলেন তিনি। কিন্তু চোটের কারণে পরে নিয়মিত বল করা হয়নি তার। সব মিলিয়ে মাত্র ৩৬.৩ ওভার হাত ঘোরাতে পারেন তিনি। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ম্যাচে তিন ওভারেরও কম বল করেন মাশরাফি।

Comments

The Daily Star  | English
US dollar price rises

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

1h ago