উইকেট ভালো থাকায় লাভ হচ্ছে বোলারদেরও
এবার বিপিএলে তিন ভেন্যুতেই বেশ ভালো উইকেটে হয়েছে ম্যাচ। প্রায় নিয়মিতই দেখা গেছে বড় রান। তিন ভেন্যুতেই দুশো ছাড়ানো একাধিক ইনিংসের দেখা মিলেছে, দুশো রান তাড়া করার ঘটনাও আছে। উইকেটের এমন পরিস্থিতি ব্যাটারদের দিচ্ছে সুবিধা। তবে এতে বোলারদেরও লাভ দেখছেন ইবাদত হোসেন। নতুন চ্যালেঞ্জে নিজেদের দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ দেখছেন তারা।
এবার বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে কেবল তিন ম্যাচ খেলার সুযোগ পান ইবাদত। তিনটিতেই তার পারফরম্যান্স ছিল চরম হতাশাজনক। সিলেট স্টাইকার্সের বিপক্ষে ২ ওভারে দেন ৩০। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে প্রথম দেখায় ২ ওভারে ২২ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। পরেরটিতে ৪ ওভারে ৫৬ রান দিয়ে পাননি উইকেট।
ইবাদত এর আগে বিপিএলে ছিলেন নিয়মিত পারফর্মার। এবার তাকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার মিরপুর একাডেমি মাঠে দলের অনুশীলনের পর বললেন, স্কিলের ঘাটতি নিয়ে কাজ করছেন তিনি, 'এই বিপিএলটা আমার জন্য দারুণ শেখার মঞ্চ। এই বিপিএল থেকে যতটুকু শিখেছি...আমার স্কিলে ঘাটতি ছিল, প্রয়োগের বেলায় সমস্যা ছিল।'
'পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রয়োগটাতে সমস্যা আছে। কাজ করছি এটা নিয়ে।'
স্কিলের ঘাটতিটা মূলত ধরা দিয়েছে ভালো উইকেটের কারণে। ডানহাতি এই পেসার মনে করেন, আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপেও থাকবে রান বান্ধব এমন উইকেট। তার আগে বিপিএলে এসব উইকেট খেলায় লাভ হচ্ছে বোলারদের। আপাতত রান দিলেও তারা সবাই শিখতে পারছেন, কোন জায়গায় করতে হবে উন্নতি, 'দেখেন ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে ভারতে। ধারনা করছি ওখানেও এরকম উইকেট থাকবে, মানে ভালো ব্যাটিং উইকেট হবে। আমি যেটা অনুভব করছি যে বিপিএলে এরকম উইকেটে খেলে বুঝেছি আমাদের বোলারদের স্কিল আরও উন্নতি করতে হবে যে আমরা কীভাবে এসব উইকেটে বল করতে পারি। কীভাবে পরিস্থিতি সামলাতে পারি। পেস বোলারদের স্কিলে উন্নতি করতে হবে। আমি আমার কথাই বলি, পরিকল্পনার জায়গা পরিস্কার করতে হবে।'
Comments