আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, 'আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হবে। অনেক নাটক সাজানো হবে। সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য বানানোর অনেক চেষ্টা হবে।'
মানবাধিকার কমিশনকে সেসব ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করতে হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, 'মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। তাই মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত সরকার।'
তিনি বলেছেন, 'শুধু মানবাধিকার কমিশন নয়, যেই মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে কাজ করবে, সরকার তাকেই সহায়তা করবে।'
শিশু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, 'দেশের ৮০-৮৫ ভাগ মানুষ যেখানে বসবাস করে সেখানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এখনো পৌঁছাতে পারেনি। এসব জায়গায় কমিশনকে কাজ করতে হবে।'
তিনি বলেন, 'গ্রামীণ এলাকা ও তৃণমূল পর্যায়ের অধিকাংশ মানুষ এখনো তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়। তাদের সচেতন করতে হবে এবং কমিশনকে সফল হতে হলে সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজন।'
এজন্য উপজেলা পর্যায়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও শিশুদের রচনা প্রতিযোগিতাসহ অন্যান্য প্রচার কার্যক্রম বাড়ানোর পরামর্শ দেন আইনমন্ত্রী ।
গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির সম্মেলনের পেছনেও ষড়যন্ত্র ছিল উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, 'আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হবে। অনেক নাটক সাজানো হবে। সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য বানানোর অনেক চেষ্টা হবে। সেখানে মানবাধিকার কমিশনকে তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করতে হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে হবে।'
তিনি বলেন, 'মানুষে-মানুষে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, সেখানেও মানবাধিকার কমিশনকে কাজ করতে হবে।'
কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনুসন্ধানের তথ্য কমিশন পাওয়া মাত্র সরকারকে জানানোর পরামর্শ দেন আইনমন্ত্রী, যেন সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে।
বৈঠকে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানান এবং তা বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় তিনি কমিশনের স্থায়ী ভবন নির্মাণ, অবৈতনিক সদস্যদের মর্যাদা নির্ধারণ, সরাসরি কমিশনের অনুকূলে বাজেট বরাদ্দ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা তুলে ধরেন।
Comments