উপচে পড়া নেতাকর্মী নিয়ে রাজশাহী পৌঁছেছে ৮ বিশেষ ট্রেন

রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে চালানো বিশেষ ট্রেনগুলোর প্রায় প্রতিটা কোচ কানায় কানায় পূর্ণ, এমনকি ছাদেও অবস্থান নিয়েছেন নেতাকর্মীরা। ছবি: স্টার

আওয়ামী লীগের জনসভা উপলক্ষে ভাড়া করা বিশেষ ৮টি ট্রেনের সবগুলোই রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছে গেছে। সর্বশেষ পৌনে ২টায় রাজশাহী পৌঁছায় পাঁচবিবি থেকে ছেড়ে আসা বিশেষ ট্রেনটি।

স্টেশনে দেখা যায়, ট্রেনগুলোর প্রায় প্রতিটা কোচ কানায় কানায় পূর্ণ, এমনকি ছাদেও অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এই বিশেষ ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ে চলাচল করতে না পারায় সাধারণ যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোর সময়সূচী বিলম্বিত হয়েছে।

রাজশাহী স্টেশনের সুপারিন্টেনডেন্ট আব্দুল করিম বলেন, 'সাধারণ যাত্রী পরিবহনের জন্য অন্যান্য ট্রেনের সময়সূচী অপরিবর্তিত রেখে বিশেষ ট্রেনগুলোর সময়সূচী নির্ধারণ করা হয়েছে। এ কারণে, স্বাভাবিক ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা নেই।'

তবে রেলওয়ের কর্মকর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, বিশেষ ট্রেনগুলো সময়সূচী ঠিক রেখে চলাচল করতে পারছে না। এ কারণে দিনের শেষের দিকে সময়সূচী ঠিক রেখে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে এবং সমাবেশ শেষে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় আড়ানি স্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে বিশেষ একটি ট্রেন রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছায়। সেটি আবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজশাহী ফেরে। নাটোর স্পেশাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী পৌঁছার কথা থাকলেও সেটা পৌঁছেছে পৌনে ১টায়। সিরাজগঞ্জ স্পেশাল নির্ধারিত সময়ের আধাঘণ্টা আগেই রাজশাহী পৌঁছেছে। পাঁচবিবি ট্রেনটি সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী আসার কথা থাকলেও সেটা পৌঁছেছে পৌনে ২টায়।

রাজশাহী থেকে পার্বতিপুরগামী যাত্রীবাহী উত্তরা এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল দুপুর সোয়া ১টায়। কিন্তু, দুপুর ২টা পর্যন্ত ট্রেনটি রাজশাহী পৌঁছাতেই পারেনি।

রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলেছেন, সময়সূচীতে বড় ধরনের কোনো রদবদল হয়নি। সময় পরিবর্তিত হলেও ট্রেনগুলো স্টেশনের আশেপাশেই অবস্থান করছে।

বিশেষ ট্রেনগুলো চলাচলের সুবিধার্থে রাজশাহী স্টেশনে নতুন একটি লুপ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে।

লুপ লাইনগুলো থেকে সাধারণত ট্রেনগুলোকে স্টেশনে প্রবেশ করানো হয় এবং স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। লুপ লাইনে ট্রেন অবস্থানও করতে পারে।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন লুপ লাইনটি রাজশাহী স্টেশনের ৭টি বর্তমান লাইনের সঙ্গে অতিরিক্ত একটি। গত ১ বছর ধরে এর নির্মাণ কাজ চলছিল। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে বিশেষ ট্রেনগুলো চলাচলের সুবিধার্থে লাইনটির নির্মাণ কাজ সময়ের আগেই শেষ করা হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
Chinese firms bullish on Bangladesh’s manmade fibre

Chinese firms bullish on Bangladesh’s manmade fibre

Non-cotton garments are particularly lucrative, fetching higher prices than traditional cottonwear for having better flexibility, durability

14h ago