আত্মীয়-স্বজন ও মুখ দেখে নেতা বানাবেন না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'কোনো অপশক্তিকে আগুন নিয়ে খেলতে দেওয়া হবে না এই বাংলার মাটিতে। তাদের সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।'
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'সারাবছর, প্রতিদিনই কর্মসূচি থাকবে আওয়ামী লীগের। জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যায়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।'
দলীয় নেতাকর্মীদের ওবায়দুল কাদের বলেন, 'রাজপথ ছাড়বেন না, শহর ছাড়বেন না, সতর্ক থাকবেন প্রতিদিন।'
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে নেই। নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে, মাঠে আছি, থাকব। আমাদের প্রতিদিন কর্মসূচি আছে।'
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা করে একমাত্র আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগে নিয়ম অনুযায়ী সব হয়। এর মধ্যে ৩টি জাতীয় সম্মেলন হয়ে গেছে সময়ের আগেই। ফখরুল সাহেব, কবে সেক্রেটারি হয়েছেন মনে আছে? বিএনপির কোনো সম্মেলন হয় না।'
তিনি বলেন, 'বিএনপি কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে? তারা ঘরেই তো গণতন্ত্রের চর্চা করে না। তারা দেশে গণতন্ত্র কীভাবে আনবে? তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে বাংলাদেশে নাকি গণতন্ত্র নেই। তারা নিজেরাই গণতন্ত্রের চর্চা করে না। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে।'
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। এখানে শেখ হাসিনা কাউকে নির্বাচন কমিশনের সদস্য করেননি।'
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি গোষ্ঠী। তারা সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক, নষ্ট রাজনীতির ধারক ও বাহক। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদের মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে টিম গঠন করতে হবে। লোক নিয়োগ করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে কমিটি করতে হবে। কমিটিতে ত্যাগী, দুঃসময়ের কর্মী, সুখে দুঃখে যারা থাকে তাদের কমিটিতে প্রাধান্য দিতে হবে। আত্মীয়-স্বজন ও মুখ দেখে নেতা বানাবেন না। কর্ম দেখে নেতা বানাবেন।'
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হকসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও ময়মনসিংহ বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ।
Comments