ঢাবির মাস্টার্সে বাইরের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হবেন যেভাবে

ইউজিসি অনুমোদিত বাংলাদেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নিয়মিত মাস্টার্স বা স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবেন।

শিক্ষার্থীরা পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবেন।

তবে, শর্ত হলো— ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর স্নাতকে অন্তত ৩ দশমিক ২৫ সিজিপিএ থাকতে হবে এবং ঢাবির স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তি হতে এসএসসি ও এইচএসসির যে ন্যূনতম ফলাফল দরকার তা থাকতে হবে।

বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএর যোগফল ৮ এবং আলাদাভাবে ৩ দশমিক ৫ থাকতে হবে। মানবিকের শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম জিপিএর যোগফল ৭ দশমিক ৫ এবং আলাদাভাবে ৩ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জিপিএর যোগফল ৭ দশমিক ৫ এবং আলাদাভাবে ৩ থাকতে হবে ৷

ঢাবির স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য সিন্ডিকেট অনুমোদিত ভর্তি নীতিমালায় এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাবির নিয়মিত শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার পর যতগুলো আসন ফাঁকা থাকবে, কেবলমাত্র ওই কয়টি আসনেই বাইরের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে।

সব শর্ত পূরণ হলে ভর্তিচ্ছুদের ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং ভাইভা পরীক্ষা দিতে হবে।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, 'আমরা অন্যান্য পাবলিক ও ইউজিসি অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছি।'

ইউজিসি অনুমোদিত যেকোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও স্নাতক সম্পন্ন করার পর ঢাবিতে তাদের পছন্দের বিষয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন। এমনকি, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদেরও ভর্তির সুযোগ দেবে ঢাবি।

এর আগে শুধুমাত্র ঢাবি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরাই নিজ বিভাগে স্নাতকোত্তর করার সুযোগ পেতেন।

ঢাবির ৮৩টি বিভাগ ও ১৩টি ইনস্টিটিউটে স্নাতকোত্তরের আসন রয়েছে ৬ হাজার ২৭০টি। স্নাতক সম্পন্ন করার পর অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে চলে যান কিংবা চাকরিতে যোগ দেন। ফলে, স্নাতকোত্তরের অনেক আসন ফাঁকা থাকে।

ঢাবির ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, 'ঢাবির শিক্ষার্থীরা এখন তাদের নিজ বিভাগ ছাড়াও অন্য বিভাগের স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবে।'

তিনি জানান, স্নাতকোত্তরের ফি বাইরের শিক্ষার্থী এবং ঢাবি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের জন্যই একই।

বিভাগ ও ইনস্টিটিউটগুলো আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে এবং মেধা তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেবে।

এই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক সুবিধা পাবেন না। তবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এই বিধান শিথিল হতে পারে।

ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়েছে, স্নাতকোত্তরে ভর্তির জন্য আসনের সংখ্যা সংশ্লিষ্ট বিভাগের পাশাপাশি জাতীয় ও বৈশ্বিক চাহিদা বিবেচনায় বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের পূর্বানুমোদন নিতে হবে।

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাবির বিভাগগুলো বাইরের শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তরে ভর্তি করতে পারবে বলে জানিয়েছেন ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল।

সাধারণত, স্নাতকোত্তর ভর্তি সম্পন্ন হয় ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে।

Comments

The Daily Star  | English

What we expect from a people-centric health budget

We must strongly advocate for a people-centric health budget.

8h ago