ঢাবি মাস্টার্সে বাইরের শিক্ষার্থী ভর্তিতে সিজিপিএ ৩.২৫ কি বাধা

অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক সম্পন্নকারীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মাস্টার্স বা স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা খুশি হলেও, ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.২৫ নির্ধারণ করায় অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক সম্পন্নকারীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মাস্টার্স বা স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা খুশি হলেও, ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.২৫ নির্ধারণ করায় অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, সিজিপিএ ৩.২৫ পাওয়া বেশ কঠিন এবং এই কারণে অনেক শিক্ষার্থী এই সুবিধা পাওয়ার সুযোগ হারাবে।

তাদের পরামর্শ, সিজিপিএ ৩ নির্ধারণ করা হলে আরও বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা আব্দুল জলিল বলেন, 'কিছু বিভাগ থেকে সিজিপিএ বেশি পাওয়া সহজ, কিন্তু আমাদের মতো অনেক বিভাগ থেকে কাজটি খুবই কঠিন।'

তবে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, 'এতে অনেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণ হবে।'

ঢাবির মাস্টার্সের ভর্তি পরীক্ষা দিতে আগ্রহী অনেক শিক্ষার্থী চান, কর্তৃপক্ষ যেন ন্যূনতম শর্তগুলো পুনর্বিবেচনা করে এবং কিছুটা শিথিল করে।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী সাবরিনা ইয়াসমিন বলেন, 'এটি একটি ভালো উদ্যোগ। তবে সিজিপিএ ৩.২৫ এর শর্তটা বেশি কঠিন হয়ে গেল। ৪ এর মধ্যে ৩ হলেও এটা যুক্তিসঙ্গত হতো।'

ঢাবি শিক্ষার্থী আরমানুল হক বলেন, 'অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া নিশ্চই ভালো সিদ্ধান্ত। কারণ, প্রতি বছরই প্রায় সব বিভাগেই কিছু আসন খালি থাকে। এখন আসন খালি থাকবে না।'

'কিন্তু ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সিজিপিএর শর্ত বেশি হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষের উচিত ন্যূনতম সিজিপিএ কমিয়ে দেওয়া', যোগ করেন তিনি।

ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে।'

ঢাবির সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, 'আমি মনে করি, সিজিপিএর চেয়ে ভাষার দক্ষতা পরীক্ষা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।'

Comments