হামলার অভিযোগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদের ১১ সমর্থকের নামে মামলা
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনকালে প্রকল্প প্রকৌশলীর ওপর হামলার ঘটনায় সরিষাবাড়ী থানায় মামলা করা হয়েছে।
আজ বুধবার প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জনি বাদী হয়ে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের প্রতিনিধি কাউন্সিলর সাখাওয়াতুল আলম মুকুলকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪০/৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় নাম উল্লেখ করা হয়েছে সাখাওয়াতুল আলম মুকুল, সুমন চাকলাদার, সোহেল মিয়া, দুর্জয়, হারুন, বাবু, মুন্না, আ. কাদের, বেলাল, ইমরান ও সুমনের।
মামলার ২ আসামি মুন্না ও বেলালকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনের জন্য সবধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় মুরাদ হাসান এমপির যে নামফলক ছিল, উদ্বোধনের আগে সেটি সরিয়ে রাখা হয় এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী নামফলক স্থাপন করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, এমপির নামফলক না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলাকালে ডা. মুরাদ হাসানের প্রতিনিধি সাখাওয়াতুল আলম মুকুল ও তার লোকজন অতর্কিত হামলা চালান এবং মাসুদুর রহমান জনিসহ প্রকল্পের লোকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে রাস্তা পর্যন্ত নিয়ে যান। হামলাকারীরা তাদের ৩টি মোবাইল ও মসজিদের সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যান।
এ সময় মডেল মসজিদ প্রকল্পের প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জনি (৩২), উপ-ঠিকাদার (সুপারভাইজার) মো. রকিব (৩০), ঠিকাদারের কর্মচারী ওসমান গণি বিপুল (২৮) ও সৌরভ (২৫) গুরুতর আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা মো. রকিব, ওসমান গণি বিপুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মহব্বত কবীর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মসজিদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এজাহারভুক্ত ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।'
Comments