র‌্যাব ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বিবেচনা করা ঠিক হবে না

মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন | ছবি: সংগৃহীত

র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বিবেচনা করা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন।

আজ শুক্রবার সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পিস রান বাংলাদেশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।

আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আসছেন। তার সঙ্গে কী কী বিষয়ে আলোচনা হতে পারে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, 'এটা খুব সুখের বিষয়ে উনি আসছেন। আমরা তাকে স্বাগত জানাই। আমাদের সঙ্গে আমেরিকার খুব ভালো সম্পর্ক। তাদের সঙ্গে আমাদের বহুমুখী সম্পৃক্ততা আছে। উনি এলে বিভিন্ন ইস্যুতে আলাপ হবে। আমার ধারণা তাতে আমাদের সুসম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।'

র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, 'একটি ইস্যু নিয়ে সম্পর্ক নির্ধারণ করা হয় না। বহু ইস্যু নিয়ে সম্পর্ক নির্ধারণ হয়। আমেরিকা আমাদের সবচেয়ে বড় জিনিসের খরিদদার, আমাদের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী। আরও অনেক ধরনের সম্পর্ক তাদের সঙ্গে। শুধু এই একটি ইস্যু নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। সব দিক থেকে তাদের সঙ্গে আমাদের মূল্যবোধ-আদর্শের মিল আছে। আমেরিকা চায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, আমরাও তাই চাই। আমেরিকা চায় মানবাধিকার বজায় থাকুক, আমরাও তাই চাই। এ দেশের ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছে মানবাধিকার, ন্যায় বিচার, গণতন্ত্রের জন্য। তারাও সেগুলো চায়, আমাদের সঙ্গে মিল আছে।'

র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার আলোচনা হবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আলাপ হবে। অনেক কিছু নিয়েই আলাপ হবে।'

তিনি বলেন, 'আমরা সব সময় শান্তি চাই। আমরা বিশ্বাস করি, আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। সেই আলোচনার জন্য মন-মানসিকতার দরকার। আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আমরা বিশ্ব শান্তি, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা চাই। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়। আমরা চাই, সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান।'

'আমি গর্বিত, বাংলাদেশ তার সমস্যাগুলো প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করেছে। পানি চুক্তি, সীমান্ত চুক্তি, সমুদ্রসীমা; আমরা সবগুলো সমাধান করেছি বড় প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে। একটি গুলি ছোড়া হয়নি। অন্যান্য মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলো; ইরাক-ইরান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া সব দেশে খালি মারামারি-কাটাকাটি। আমাদের কোনো মারামারি-কাটাকাটি নেই। এটা সম্ভব হয়েছে জাতির পিতার পররাষ্ট্রনীতির কারণে,' বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, 'বছরের প্রথম দিনে আমাদের ৮২টি মিশনকে যুক্ত করে একটি ভার্চুয়াল মিটিং হয়েছে। আমরা কী চাই তাদের বলেছি, তারা কীভাবে আমাদের সাহায্য করতে পারে সেটা জানতে চেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের একটি দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা স্বল্প সম্পদ ব্যবহার করে  মানুষের মঙ্গলের জন্য সবচেয়ে বেশি কীভাবে অর্জন করতে পারি—যদি তারা অন্যান্য দেশ থেকে শিখে থাকেন সেই অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে বলেছি।'

'আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ৩টি প্যাকেজ আছে; বিনিয়োগ এবং রপ্তানি ও রপ্তানির গন্তব্য বাড়ানোর জন্য ইকোনমিক ডিপ্লোম্যাসি, দেশে ও বিদেশে জনগণের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং উপযুক্ত প্রযুক্তি সংগ্রহ করা। আমরা যেন সেবার মান বৃদ্ধি করতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

$14b a year lost to capital flight during AL years

Bangladesh has lost around $14 billion a year on average to capital flight during the Awami League’s 15-year tenure, according to the draft report of the committee preparing a white paper on the economy.

15h ago