ই-ভিসা ও অন-অ্যারাইভাল ভিসা চালুর দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের

ই-ভিসা ও অন-অ্যারাইভাল ভিসা চালুর দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের
এফবিসিসিআইয়ের ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট (ইনবাউন্ড, আউটবাউন্ড, ডোমেস্টিক অ্যান্ড সিভিল এভিয়েশন) বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চতুর্থ সভা। ছবি: সংগৃহীত

বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে ই-ভিসা এবং অন-অ্যারাইভাল ভিসা চালুসহ ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছেন পর্যটন খাতের উদ্যোক্তারা।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে এফবিসিসিআইয়ের ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট (ইনবাউন্ড, আউটবাউন্ড, ডোমেস্টিক অ্যান্ড সিভিল এভিয়েশন) বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চতুর্থ সভায় ব্যবসায়ীরা এই দাবি জানান।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, 'বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় একটি খাত। কিছুদিন আগে এইচএসবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে, দেশের অর্থনীতি বড় হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে পর্যটন শিল্পও আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী পর্যটন খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে কক্সবাজারের পর্যটনকে কেন্দ্র করে নানা অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ চলছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে নতুন সম্ভাবনা এনে দিয়েছে। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পর্যটক সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।'

'এফবিসিসিআইয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চলতি বছরের মার্চে অনুষ্ঠিতব্য ৩ দিনব্যাপী বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের প্রদর্শনীতে অনেকগুলো খাত প্রাধান্য পাবে, পর্যটন তার মধ্যে একটি,' বলেন তিনি।

সামিটে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা তুলে ধরতে একটি বিশেষ স্টল করার কথাও জানান তিনি।

এছাড়া, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে সামিটে ট্যুরিজমের ওপর একটি প্ল্যানারি সেশন থাকবে বলেও জানান তিনি।

পর্যটন খাতের উন্নয়নে ইতিবাচক উদ্যোগে এফবিসিসিআই সব সময় পাশে থাকবে বলে মন্তব্য করেন মো. জসিম উদ্দিন।

এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, 'বাংলাদেশে পর্যটন খাতে বিদেশিদের আকৃষ্ট করা ছাড়াও দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্যও এটি একটি বড় বাজার। সম্ভাবনাময় এ খাতের শৃঙ্খলা নিশ্চিতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ সরকারি বেসরকারি সবার অংশগ্রহণ জরুরি।

প্রধানমন্ত্রী পর্যটন খাতের উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছেন বলে  মন্তব্য করেন কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ এম জি আর নাসির মজুমদার।

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

4h ago