কর্কট: কেমন যাবে ২০২৩ সাল
যুক্তির হাত ধরেই নতুন বছর জটিল থেকে জটিলতর প্যাঁচ খুলতে সক্ষম হবেন কর্কটমানব। তাই সকলের বাহবাধ্বনি কুড়োতে প্রস্তুত হোন।
রাশিফল অনেকে বিশ্বাস করেন, অনেকে করেন না। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের জায়গাটা একান্ত ব্যক্তিগত। শুধু আগ্রহী পাঠকদের জন্য অ্যাস্ট্রোসেইজ.কম ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার ২০২৩ সালের রাশিফল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের এই উপস্থাপনা।
ওদিকে বৃহস্পতির সুদৃষ্টি মতিগতি ফেরাতে চাইবে ধর্মে। ধর্মস্থানে যাত্রা হতে শুভ। তাই 'মঙ্গল-দীপ জ্বেলে/ অন্ধকারে দুচোখ আলোয় ভরো…।'
বছরজুড়ে কণ্টক শনির সঙ্গে সাক্ষাৎ হলেও মোটমাট ভাগ্য সুপ্রসন্ন কর্কটের। তবে দ্বাররক্ষক বৃহস্পতি ঢাল হয়ে থাকায় কর্কট রাশির অষ্টম ঘর থেকে শনিদেব তেমন একটা নড়াচড়া করবেন না।
মনে রাখবেন শনির আপ্যায়নে ভুলচুক হলে মন খারাপের ভয় আছে। তবে কর্কটের ক্যারিয়ারকে কেউই থামাতে পারবে না এ বছর। দশম ঘরে রাহুর অবস্থান বারবার মনে করিয়ে দেবে, 'যুক্তিতে মুক্তি'।
শনি বছরের শুরুতে সপ্তম থেকে অষ্টম ঘরে যাত্রা করবে, এর প্রভাব পড়বে কর্কটের সুস্থতায়। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। তাই সুস্বাস্থ্যকে ঝুঁকিতে ফেলবেন না। প্রথম ত্রৈমাসিক পক্ষে থাকবে কর্কটের। আটকে থাকা কাজের গতি বেড়ে যাবে। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের চিন্তাও করতে পারেন সহজেই।
জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সৌভাগ্য কর্কটের নিত্যসঙ্গী হবে। এই 'কিসমত কানেকশন'কে ভালোভাবে কাজে লাগাতে ভুলবেন না। এসময় যেখানেই হাত দেবেন, সোনা ফলবে। গুরুজনদের আশীর্বাদ নিতেও ভুলবেন না।
এই সময়টাতে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে কোনো ঝুটঝামেলা নয়, নিজের সঙ্গে অন্যের পরিস্থিতিও বোঝার চেষ্টা করুন। বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে রাহু ও কেতুর দশম ও চতুর্থ ঘরে অবস্থান পারিবারিক জীবনে টানটান উত্তেজনা তৈরি করবে। নবম ঘরে শনিদেব জেঁকে বসবেন, তাই কিছুটা অশান্তি প্রত্যাশিত। পরমতসহিষ্ণুতার চর্চা অব্যাহত রাখুন। নানা মুনির নানা মতে ভড়কে যাবেন না। দুষ্ট গ্রহদের চেষ্টা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, বৃহস্পতির দয়ায় মগজাস্ত্রটি সুষ্ঠুভাবে সব সিদ্ধান্ত নিতে পারবে– এই ভরসা। গতিহীন জাহাজ নয়, কর্কটের ভাগ্যের হাল ধরবেন স্বয়ং বৃহস্পতি।
বহুদিন ধরে বাইরে কোথাও ঘুরে আসার ইচ্ছা? এ ইচ্ছা ২০২৩ সালের জুনে পূরণ হবার ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
'শাদি কা লাড্ডু' খেয়ে এবার অনেকের একটু পস্তানোর ভাগ্যে থাকলেও শেষমেশ সামলে নেবেন সবকিছুই। যাদের সন্তান আছে, সন্তানের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করুন।
বছরের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রান্তিকে অনেক উত্থান-পতন আসবে কর্কটের জীবনে। বৃহস্পতি ও রাহুর দশম ঘরে অবস্থান তৈরি করবে গুরুচণ্ডাল দশার আলপনা। চাকরিবদল হতে পারে। কাজের চাপ সিনবাদের ভূতের মতো ঘাড়ে চেপে বসবে। পরিবারেও শান্তির অভাব থাকায় কিছুটা ভারসাম্য হারাতে পারেন এই সময়ে। তবে দশম ঘরের শনি মহারাজ এ সময়ে উৎসাহ দেবেন কর্কটের মনে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিস্থিতি কাটিয়ে জয়ের হাসি হাসবেন কর্কট।
টাকা-পয়সার চিন্তা এ বছর খুব একটা করতে হবে না অনেক কর্কটকে। তবে অর্থ যেন অহঙ্কারের পথে না নিয়ে যায়। মনে রাখবেন– অহঙ্কার সবসময়েই পতনের মূল।
নিজের আচরণে কাছের মানুষটি যেন দূরে চলে না যায়। অহঙ্কারকে ছাঁকুনি দিয়ে ছেঁকে ফেলুন। তবে ব্যক্তিত্বে দৃঢ়তা সবারই প্রয়োজন। কর্কট এক্ষেত্রে চাইলেই সফল হবেন। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের সময়টায় বিভিন্ন বাধা-বিপত্তিকে মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে হবে। অন্যের সহায়তার আশায় বসে না থাকবেন না। 'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে!'
পরের জায়গা পরের জমিতে বাস করার দিন কর্কটের জন্য ফুরাবে অক্টোবরে। মূল্যস্ফীতির দিনগুলোতেও কর্কট রাশির লোকেরা নিজের জমি কেনার সুযোগ পাবেন।
গাড়িবাড়ি সবই হবে, তবে পরিবারের দিকে খেয়াল রাখুন। ইট-কাঠের ইমারত তখনই ঘর হয়ে ওঠে, যখন আপনজনেরা সঙ্গে থাকে। রাহু নবম ঘরে লম্ফঝম্প করবে তাই অন্য সব সমস্যার ধোঁয়াশা কেটে যাবে কর্কটক্রান্তিরেখায়। মন দেওয়া-নেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন।
ডিসেম্বরের শহরে চেনা শুভেচ্ছা বেজে উঠবে চেনা সেলফোনে। প্রিয় মানুষটির হাত ধরে ভালোবাসা পোর্সেলিনের মতো নিখুঁত হয়ে উঠবে। এসবের মাঝে নিজেকে তর্জমা করতে থাকুন। আত্ম আবিষ্কারই প্রকৃত গন্তব্য।
গ্রন্থনা: অনিন্দিতা চৌধুরী
Comments