মিথুন: কেমন যাবে ২০২৩

শনির কবল থেকে এ বছর মুক্তি পাবেন
শনির কবল থেকে এ বছর মুক্তি পাবেন

শনির কবল থেকে এ বছর মুক্তি পাবেন, তাই বছরটি মিথুন রাশির জন্য বেশ শুভ হতে যাচ্ছে। তবে 'স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল' নীতি অবলম্বন করুন মিথুনমানব।

রাশিফল অনেকে বিশ্বাস করেন, অনেকে করেন না। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের জায়গাটা একান্ত ব্যক্তিগত। শুধু আগ্রহী পাঠকদের জন্য অ্যাস্ট্রোসেইজ.কম ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার ২০২৩ সালের রাশিফল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের এই উপস্থাপনা।

ঝুটঝামেলা কার জীবনে না আসে? তাই কবীর সুমনের সুরে সুর মিলিয়ে প্রিয় মিথুনকে বলতে হয়, 'হাল ছেড়ো না বন্ধু...!' 

নতুন বছরে আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান হোন। বুদ্ধির মার নেই, বুদ্ধিই বের করে আনবে জীবনের গোলকধাঁধা থেকে। 

নক্ষত্রদের অবস্থান বিবেচনা করে, তাদের গতিবিধির দিকে বিশেষ খেয়াল রেখে মিথুন রাশির জাতকদের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন অ্যাস্ট্রোসেইজ.কমের জ্যোতিষী ডক্টর মৃগাঙ্ক। জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস থাকলে এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলো মেনে চলতে পারেন। 

জানুয়ারির শুরুর দিকে আসা ভোগান্তিগুলো মাসের শেষ দিকে কেটে যাবে। সব আটকে থাকা কাজের সুরাহা হবে। নিজে থেকে বড় সব সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। মিথুনের আশপাশে এই সময়টাতে বদলের হাওয়া বইবে। ভাগ্যের সুনজর পড়তে পারেন প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে। বিদেশ সফর আর দীর্ঘ ভ্রমণের সম্ভাবনা মনকে আরও সতেজ করে তুলবে। নিজের মধ্যে সন্ধান পাবেন নতুন আধ্যাত্মিকতার। 

চাকরিবদল হতে পারে। তবে সব বদল খারাপ হয় না। দীর্ঘমেয়াদে তা মিথুনের অনুকূলেই হবে। সর্বোপরি নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যাদের সন্তান-সন্ততি আছে তাদের কিছুটা অস্থিরতা থাকবে এই সময়ে। প্রেমের সম্পর্কেও হয়তো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তবে অর্থের অনর্থ হবে না। 

নতুন চাকরির সঙ্গে আয়বৃদ্ধির সংযোগ রয়েছে। প্রথম ৩ মাসে একটু সামলে খরচ করুন। নিজের উচ্চাকাঙ্ক্ষার ঘোড়াকে ছুটতে দেবেন ঠিকই কিন্তু সময়মতো লাগাম টেনে ধরুন, নয়তো সুদিন বদলে যাবে দুর্দিনে। 

ঠিক-ভুলের ফারাক বুঝতে ব্যবহার করুন সচেতনতার আতশকাঁচ। পরিশ্রমের মাধ্যমে অনুকূল ফলাফল আসবে, হতাশ হবেন না। 

বছরের প্রথমদিকে পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটবে। শান্তি ও সম্প্রীতিতে ভরপুর থাকবে ঘরদোর। বিয়ের গাঁটছড়াও বাঁধা হতে পারে। তবে আশেপাশে যাই হোক না কেন, মিথুনকে আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে– কোনোভাবেই নিজের ওপর আস্থা হারানো চলবে না। আস্থা হারানো মন নিয়ে নিজের কাছেই ফিরে আসুন।

বছরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিককাল মিথুনের জন্য বেশ ভালো কাটবে। ইচ্ছেপূরণের পরীরা জাদু ছড়িয়ে দেবে, জল্পনা-কল্পনা-পরিকল্পনা শেষমেশ বাস্তব রূপ দেখবে। নতুন চাকরি বা পদোন্নয়ন– যেকোনো কিছুই হতে পারে। বাড়তি আয়ের সঙ্গে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির সম্ভাবনাও প্রবল। 

এ বছর শুরুর দিকে, অর্থাৎ জানুয়ারিতে কর্মজীবনে উত্থান-পতন ঘটতে পারে এবং পারিবারিক জীবনে চাপের সম্মুখীন হতে হবে। তবে ফেব্রুয়ারির আগমনে মিথুন এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। দীর্ঘ ভ্রমণের সম্ভাবনা থাকবে। মার্চে নিজের আচরণ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

কোনোরূপ রূঢ়তা বা অতি সোজাসাপ্টা কথাবার্তা এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়– নয়তো ঝামেলা বাঁধতে পারে। 

এপ্রিলে আয়বৃদ্ধি ও সন্তান-সন্ততির কাছ থেকে ভালো খবর পাবার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এপ্রিল হবে সুসংবাদের সময়। কর্মজীবনে সাফল্য ঘিরে থাকবে। তবে মে মাসে পারিবারিক জীবনের ঝুট-ঝামেলা বাড়তে পারে, বিশেষত সম্পত্তি বা জমি সংক্রান্ত বিবাদ। ঝগড়াঝাঁটি, এমনকি আদালতে আনাগোনাও করার আশঙ্কা রয়েছে। তবে শেষমেশ লাভের মুখ দেখবেন মিথুনই। জুন মাসের আবির্ভাবে বাজে সময় কেটে যেতে থাকবে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য ও ব্যক্তিজীবনের আত্মবিশ্বাস কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবে মিথুনকে। 

ওদিকে জুলাই নিয়ে আসবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। আগস্টে প্রতিদ্বন্দ্বী সব পক্ষ থেকে মিথুন শক্তিশালী হয়ে উঠবেন। তবে সেসময়ে খরচাপাতি সম্পর্কে একটু সতর্ক হতে হবে। সেপ্টেম্বরে হাঁফ ছেড়ে বাঁচার অনেক পরিস্থিতি তৈরি হবে। সামনে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকবে না মিথুনের। বন্ধুভাগ্য অনুকূল হবে। সমর্থন যোগাবে প্রিয়জনেরা। 

২০২৩ সালের মিথুন রাশির ভবিষ্যদ্বাণী বলছে, অক্টোবর মাস সুখকর হবে। বাড়িগাড়ি কেনার মতো সুযোগও আসবে। পরিবার ও প্রেমের সম্পর্কে অনুকূল আবহাওয়া বজায় থাকবে নভেম্বরে। এ সময় মিথুন রাশির জাতক-জাতিকারা গুনগুন করবেন, 'মোরা আর জনমে হংসমিথুন ছিলাম'। 

তবে ডিসেম্বরে অনেকের সম্পত্তি ও জমি সংক্রান্ত বিবাদ হতে পারে, সেটা সাবধানে মোকাবিলা করবেন। বাবা-মায়ের স্বাস্থ্য নিয়েও বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার। 

 

গ্রন্থনা: অনিন্দিতা চৌধুরী 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Moody's downgrades Bangladesh's ratings to B2, changes outlook to negative

“The downgrade reflects heightened political risks and lower growth, which increases government liquidity risks, external vulnerabilities and banking sector risks, following the recent political and social unrest that led to a change in government,” said Moody’s.

10m ago