টুইটার থেকে পদত্যাগ করবেন কি না, সে বিষয়ে সমীক্ষা চালাচ্ছেন মাস্ক

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা উপভোগ করেন ইলন মাস্ক। ছবি: রয়টার্স
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা উপভোগ করেন ইলন মাস্ক। ছবি: রয়টার্স

স্পেস এক্স, টেসলা ও টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক টুইটারে একটি সমীক্ষা শুরু করেছেন। গতকাল রোববার পোস্ট করা সমীক্ষায় মাস্ক জানতে চেয়েছেন, টুইটারের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন কি না।

গতকাল রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্স মাস্কের টুইটের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই সমীক্ষায় যে ফল আসবে, সে অনুযায়ী কাজ করবেন ইলন মাস্ক। অর্থাৎ, বেশিরভাগ মানুষ যদি 'হ্যাঁ', ভোট দেয়, তাহলে মাস্ক প্রধান নির্বাহী পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবেন।

তবে সমীক্ষার ফল বিপক্ষে গেলে কতদিনের মাঝে তিনি পদত্যাগ করবেন, তা জানাননি।

সর্বশেষ তথ্য মতে, এই সমীক্ষার আর প্রায় ৬ ঘণ্টা বাকি আছে। এ মুহুর্তে মাস্কের পদত্যাগের পক্ষে ৫৬ দশমিক ৩ শতাংশ ও বিপক্ষে ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোট দিয়েছেন মোট ১ কোটি ৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৩৩ জন টুইটার ব্যবহারকারী। উল্লেখ্য, ভোট দেওয়ার জন্য টুইটার অ্যাকাউন্ট থাকা আবশ্যক।

এক টুইটার ব্যবহারকারী মন্তব্যের জবাবে মাস্ক জানান, এ মুহুর্তে 'কোনো উত্তরসূরি নির্ধারণ করা হয়নি'।

মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের দেলাওয়ারের এক আদালতকে গত মাসে জানান, তিনি টুইটারে সময় দেওয়া কমিয়ে আনবেন এবং প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নতুন একজন নেতা খুঁজে বের করবেন।

এর মাঝেই রোববার টুইটারের নীতিমালায় এসেছে নতুন পরিবর্তন। নতুন নীতি অনুযায়ী যেসব অ্যাকাউন্ট শুধু অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মাধ্যমে পোস্ট করা কন্টেন্টের প্রচারণা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে, সেগুলো নিষিদ্ধ করা হবে।

ইলন মাস্কের পদত্যাগ বিষয়ক সমীক্ষা পোস্ট করার আগে তিনি আরেকটি টুইট করে ক্ষমা চান এবং বলেন, 'আগামীতে টুইটারে বড় আকারে নীতির পরিবর্তন আসার আগে ব্যবহারকারীদের অভিমত যাচাই করা হবে।'

কয়েক ঘণ্টা পরে এই নীতিমালা নিয়ে অপর একটি সমীক্ষা পোস্ট করা হয়।

নতুন নীতিমালায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ স্বল্প পরিচিত মাস্টোডোন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যাল, ট্রিবেল, নোস্ত্র ও পোস্টকে প্রভাবিত করবে বলে টুইটার সাপোর্টের আনুষ্ঠানিক বার্তায় জানা গেছে।

তবে এই তালিকায় চীনের বাইটড্যান্স লিমিটেডের স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও পোস্ট করার মাধ্যম টিকটককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

সম্প্রতি ইলন মাস্কের সমালোচনা করে প্রতিবেদন তৈরির কারণে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার মাস্ক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে 'ডক্সিং' বা ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে তার পরিবারকে বিপন্ন করার অভিযোগ এনে কোনো ধরনের পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই এই স্থগিতাদেশ জারি করেন।

তবে সরকারি কর্মকর্তা, অ্যাডভোকেসি সংস্থা ও সাংবাদিকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সংস্থার সমালোচনার মুখে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন মাস্ক।

 

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

12h ago