টুইটারের স্বেচ্ছাসেবী উপদেষ্টা কাউন্সিল বাতিল করলেন ইলন মাস্ক

টুইটারের সত্ত্বাধিকারী ইলন মাস্ক। ছবি: এপি
টুইটারের সত্ত্বাধিকারী ইলন মাস্ক। ছবি: এপি

ইলন মাস্কের মালিকানায় থাকা প্রভাবশালী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের স্বেচ্ছাসেবী ও নিরপেক্ষ উপদেষ্টা সংগঠন 'আস্থা ও নিরাপত্তা কাউন্সিল' বাতিল করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

এই সংগঠনের সঙ্গে ১০০ নিরপেক্ষ নাগরিক, মানবাধিকার ও অন্যান্য সংস্থা যুক্ত ছিল। ২০১৬ সালে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ, আত্মহত্যাসহ বেশ কিছু সমস্যার সমাধানে এই প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়।

গতকাল সোমবার রাতে টুইটারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জুম অ্যাপের মাধ্যমে কাউন্সিলের পূর্বনির্ধারিত ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বৈঠক শুরুর ১ ঘণ্টা আগে টুইটার সংস্থাটিকে ইমেইলের মাধ্যমে কাউন্সিল বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

কাউন্সিলের একাধিক সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে টুইটারে কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক পেজ ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে।

ইমেইলে জানানো হয়, টুইটার 'কীভাবে প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে আসা অভিমতকে কাজে লাগাবে, সে বিষয়টির পর্যালোচনা করছে' এবং কাউন্সিল 'এ মুহূর্তে এ কাজের জন্য সবচেয়ে উপযোগী অবকাঠামো নয়'।

'টুইটার' স্বাক্ষরিত ইমেইলে আরও বলা হয়, 'টুইটারকে নিরাপদ, তথ্যবহুল মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়া অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে দ্রুত গতিতে এগোতে থাকবে। আগামীতেও এই লক্ষ্যে কীভাবে পৌঁছানো যায়, সে বিষয়ে আমরা আপনাদের চিন্তাভাবনাকে স্বাগত জানাবো।'

স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে পরিচালিত এই কাউন্সিল ঘৃণা, হয়রানি ও এ ধরনের অন্যান্য বিষয় মোকাবিলায় টুইটারকে উপদেশ দিত। টুইটারের এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেই। সুনির্দিষ্ট কন্টেন্ট বিতর্ক সৃষ্টি করলে এর সমাধানের জন্যও প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক অবকাঠামো নেই।

গত অক্টোবরে ৪৪ বিলিয়ন ডলার দিয়ে টুইটার কেনার পর বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক বলেছিলেন, তিনি কন্টেন্ট বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নতুন 'কন্টেন্ট মডারেশন কাউন্সিল' গঠন করবেন। পরবর্তীতে তিনি তার মত পরিবর্তন করেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

10h ago