আর্জেন্টিনা জিতলে খুশি হওয়ার ভান করতে নারাজ রোনালদো

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২
ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তী রোনালদো। ছবি: এএফপি

৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে আর্জেন্টিনা। অধিনায়ক লিওনেল মেসির কাঁধে চেপে তারা পৌঁছে গেছে কাতারে চলমান আসরের সেমিফাইনালে। তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দী ব্রাজিল ছিটকে গেছে আগেই, কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। সেলেসাওদের কিংবদন্তি সাবেক স্ট্রাইকার রোনালদো জানিয়েছেন, আর্জেন্টিনা শিরোপা জিতলে খুশি হওয়ার ভান করতে চান না তিনি।

কাতারের মাটিতে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে আর মাত্র ২ ধাপ বাকি আর্জেন্টিনার। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া। সেই বাধা পেরোতে পারলে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ফ্রান্স কিংবা মরক্কোর। এটি হতে যাচ্ছে আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসির সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ। তার হাতে শিরোপা দেখার প্রত্যাশায় আছেন অনেক ভক্ত, বিশ্লেষক, বর্তমান ও সাবেক তারকা ফুটবলার। তবে রোনালদোর ভাবনাতে নেই ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করার ব্যাপারটি।

গতকাল সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে দুবার বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ পাওয়া প্রাক্তন ফুটবলার বলেছেন, খুশি না হলেও আর্জেন্টিনা জিতলে তাদের তারিফ করবেন তিনি, 'আমি ভান করে বলতে চাই না যে আর্জেন্টিনার জন্য আমি খুশি হব (যদি তারা বিশ্বকাপ জেতে)। তবে আমি প্রেমিকের দৃষ্টিতে ফুটবলকে দেখি এবং যে দলই চ্যাম্পিয়ন হোক না কেন আমি তাদের সমাদর করব।'

নিজের দেশ লড়াইয়ে না থাকায় ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক রোনালদো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে এগিয়ে রাখছেন। বলছেন, 'শুরু থেকেই আমার ভবিষ্যদ্বাণী ছিল ফাইনাল খেলবে ব্রাজিল ও ফ্রান্স। ব্রাজিল এখন আর নেই (প্রতিযোগিতায়)। তবে যতই দিন যাচ্ছে, ফ্রান্স তাদের ফেভারিট তকমাটাকে আরও মজবুত করছে। আর আমি তাদেরকেই (শিরোপা জয়ের দৌড়ে) ফেভারিট হিসেবে দেখছি।'

ইতিহাস গড়ে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে মরক্কো। তাদের প্রতি আবেগ থাকলেও ফ্রান্সের সঙ্গে আশরাফ হাকিমি-হাকিম জিয়েখদের পেরে ওঠার সম্ভাবনা দেখছেন না দ্য ফেনোমেনন খ্যাত রোনালদো, '(মরক্কো জিতলে) আমি খুশি হব। কিন্তু, আমার মনে হয় না তারা পারবে। আমার মতে, ফ্রান্স অনেক দুর্দান্ত একটা দল, সেটা আক্রমণেই হোক কিংবা রক্ষণে।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

13h ago