রাতেই গোলাপবাগ মাঠ পূর্ণ, মিছিলের স্রোতে ভরে যাচ্ছে আশেপাশের এলাকা

গোলাপবাগ মাঠ। ছবি: দীপন নন্দী

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ঢাকা সমাবেশ উপলক্ষে হাজারো মানুষের জনস্রোত আসছে গোলাপবাগ মাঠের উদ্দেশে।

আজ শনিবার সকাল ৯টায় দেখা যায়, কমলাপুর স্টেডিয়ামে থেকে বাসাবোর দিকে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে রয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের খণ্ড খণ্ড মিছিল।

গোলাপবাগ মাঠ ও এর আশেপাশের এলাকা হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত। তাদের মাঝে দেখা গেছে উৎসবের আমেজ।

কমলাপুর স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তাও বিএনপি নেতাকর্মীতে পূর্ণ। ছবি: মামুনুর রশীদ/স্টার

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল রাতেই গোলাপবাগ মাঠ পূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে, সকাল থেকে যারা আসছেন তাদের বেশিরভাগকেই গোলাপবাগ মাঠের আশেপাশের রাস্তাগুলোতে দাঁড়াতে হচ্ছে।

মিছিলগুলোতে দেখা যায়, বিএনপি নেতাকর্মীরা নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড ও ধানের শীষ নিয়ে গোলাপবাগ মাঠের উদ্দেশে যাচ্ছেন এবং মিছিল থেকে তারা নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন।

কমলাপুর, সায়দাবাদ, গোলাপবাগ এলাকায় বেশ কিছু তল্লাশি চৌকি স্থাপন করেছে পুলিশ। পুরো এলাকা জুড়ে অতিরিক্ত পুলিশের অবস্থান চোখে পড়েছে।

সমাবেশে আসা নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কোনো বাধা-বিপত্তি আমাদের থামাতে পারবে না। ৪ দিন আগেই আমরা ঢাকায় এসেছি সমাবেশ সফল করতে।'

ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে আসা বিএনপি কর্মী গোলাম মোর্শেদ বলেন, 'আমি কয়েকদিন আগেই এসেছি ঢাকায়। পুলিশ যে সমাবেশের দিন আমাদের ঢুকতে দেবে না, তা আগেই জানতাম।'

গোলাপবাগ মাঠের আশেপাশের প্রতিটি রাস্তাই বিএনপি নেতাকর্মীতে পরিপূর্ণ। ছবি: মামুনুর রশীদ/স্টার

নরসিংদী থেকে আসা বিএনপি কর্মী আনিস বলেন, 'আমরা গতকাল এসেছে, রাতে মাঠের মধ্যে ছিলাম। ফুটবল খেলা দেখেছি, স্লোগান দিয়েছি, সবাই মিলে আড্ডা দিয়েছি।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা সঙ্গে করে শুকনো খাবার, ওষুধ নিয়ে এসেছি। শীতের মধ্যে মাঠে থাকতে অনেক কষ্ট হয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্র রক্ষা, লাগামহীন দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এই সরকারের পতনে আমরা আন্দোলন করছি এবং এ আন্দোলন চালিয়ে যাব।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshis worry amid US immigration crackdown

The United States has deported at least 31 Bangladeshis after President Donald Trump took a tough immigration policy.

5h ago