জুমার নামাজের পর রাজশাহীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঢল

বিভাগীয় গণসমাবেশের আগের দিন আজ শুক্রবার দুপুর থেকে রাজশাহীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে।
রাজশাহীর ৩টি প্রবেশপথ দিয়ে পায়ে হেঁটে শহরে ঢুকছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ছবি: স্টার

বিভাগীয় গণসমাবেশের আগের দিন আজ শুক্রবার দুপুর থেকে রাজশাহীতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে।

এদিন জুমার নামাজের পর রাজশাহী শহরে প্রবেশের ৩ পথ- আমচত্বর, কাশিয়াডাঙ্গা ও তালাইমারি দিয়ে একের পর এক মিছিল নিয়ে শহরে প্রবেশ করতে শুরু করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। স্লোগানে স্লোগানে চারদিক মুখরিত করে তাদের মিছিল শহরের বিভিন্ন পথ প্রদক্ষিণ করছে।

দলটির নেতারা বলছেন, ধর্মঘটের কারণে আশপাশের জেলাগুলো থেকে অনেক নেতা-কর্মী অটোরিকশা-ভ্যান ও লেগুনার মতো যানবাহনে চড়ে ভেঙে ভেঙে রাজশাহীতে আসছেন। তারপরেও পথে পথে বাধার কারণে অনেককে ১০ থেকে ৩০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে শহরে আসতে হচ্ছে।

সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীদের অনেকে ১০ থেকে ৩০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে এসেছেন। ছবি: স্টার

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, 'অন্তত ৫ লাখ নেতা-কর্মী ইতোমধ্যে রাজশাহী শহরে প্রবেশ করেছেন। তারা শাহ মখদুম ইদগাহ, বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার ও বাসা-বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

রাজশাহীর সাবেক মেয়র বুলবুলের দাবি, আরও ৭ লাখের মতো নেতা-কর্মী রাস্তায় আছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকালের মধ্যে তারা রাজশাহীতে পৌঁছাবেন।

আগামীকাল শনিবার শহরের ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে সকাল ১১টা থেকে বিএনপির এই বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা।

বুলবুলের অভিযোগ, 'রাজশাহীতে আসার পথে বিএনপি কর্মীদের পথে পথে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সমাবেশস্থলে মঞ্চ তৈরির ক্ষেত্রে এবং প্রস্তুতি কাজেও মারাত্মকভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের বাধার কারণে মঞ্চ সাজানোর কাজেও বিলম্ব হচ্ছে।'

রাজশাহী এখন মিছিলের নগরী। ছবি: সংগৃহীত

এ বিএনপি নেতার ভাষ্য, 'বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কারের যে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সেটা দেখেই বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার ভয় পেয়ে গেছে। এ কারণে তারা বিএনপির সমাবেশে বাধা দিচ্ছে।'

আজ দুপুরে দেখা যায়, সমাবেশস্থল মাদ্রাসা ময়দানের অদূরে শাহ মখদুম ঈদগাহে বুধবার রাত থেকে অবস্থান নিয়েছেন বিভাগের ৮ জেলা-উপজেলা থেকে আসা বিএনপি নেতা-কর্মীরা। পুরো মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে আছে।

এই মাঠে অবস্থান নেওয়া নেতা-কর্মীরা জানালেন, তারা এখানে ৩ দিন থাকার মতো রসদ নিয়ে এসেছেন। এখানেই রাত যাপন করেছেন তারা।

সবার গন্তব্য মাদ্রাসা ময়দান। ছবি: স্টার

এদিকে ধর্মঘটের মধ্যেও রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক থাকায় আশপাশের জেলাগুলো থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের অনেকে ট্রেনে করে সমাবেশে যোগ দিতে আসছেন। ট্রেনে যারা আসতে পারছেন তাদের ভোগান্তি কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন তারা।

ট্রেনে চড়ে রাজশাহীতে আসা নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, ২ থেকে ৩ জনের দলে ভাগ হয়ে তারা ট্রেনে ওঠেন। রাজশাহী পৌঁছানোর পরে প্ল্যাটফর্মের বাইরে জড়ো হয়ে একসঙ্গে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলের দিকে হেঁটে পৌঁছান তারা।

ট্রেনে চড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর থেকে আসা বিএনপি কর্মী মো. হোসেন আলী বলেন, 'পুলিশ ২ জনকেও একসঙ্গে থাকতে দিচ্ছে না। প্রতিটা স্টেশনে পুলিশ বগিতে বগিতে ঘুরছে ও যাত্রীদের নানান প্রশ্ন করছে।'

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

7h ago