আমরা দেশে গণ্ডগোল বাধানোর অনুমতি দিতে পারি না: তথ্যমন্ত্রী

হাছান মাহমুদ
হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই বিএনপি বিভাগীয় গণসমাবেশ করতে হবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা দেশে গণ্ডগোল বাধানোর অনুমতি দিতে পারি না।

আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বিএনপি বিভাগীর সমাবেশস্থল প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, সব সময় বড় সমাবেশ খোলা মাঠে হয়। সারা বাংলাদেশে তারা (বিএনপি) খোলা মাঠে সমাবেশ করেছে। ঢাকায় নয়াপল্টনে যেখানে ৩০ থেকে বড়জোর ৫০ হাজার মানুষ ধরবে, সেখানে ৮-১০ লাখ মানুষের সমাবেশ কোনোভাবেই সম্ভব না। সরকার সৎ উদ্দেশ্যেই তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলেছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারা যাতে নির্বিঘ্নে সমাবেশ করতে পারে সে জন্য ৮ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলন ছিল সেটি এগিয়ে ৬ তারিখ করা হয়েছে।

কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য তো ভিন্ন—একটি গণ্ডগোল লাগানো। সরকার তো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য সারা দেশ থেকে অগ্নিসন্ত্রাসীদের জড়ো করে ঢাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অনুমতি দিতে পারে না। জনগণের যানমালের নিরাপত্তা বিধান, শান্তি, স্থিতি বজায় রাখার স্বার্থে সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। এ ক্ষেত্রেও তারা যদি চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার জন্য তাদের অবস্থান ব্যক্ত করে, সে ক্ষেত্রে সরকার সরকারের অবস্থান ব্যক্ত করবে। আমরা আগেই বলেছি, আওয়ামী লীগ ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারায় থাকবে। নেতা-কর্মীদের আমরা অনুরোধ জানিয়েছি সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য। দেশের যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগ পাহারায় থাকবে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। প্রয়োজন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করবে, বলেন তিনি।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, আমরা তাদের দেশে গণ্ডগোল বাধানোর অনুমতি দিতে পারি না। তারা (বিএনপি) শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে। সেই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার জন্য তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে সারা দেশে দ্রব্যমূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। আমাদের দেশেও যে বাড়েনি তা নয়। আমাদের দেশেও সেটির প্রভাব পড়েছে। কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় বৃদ্ধি অনেক ক্ষেত্রে কম। এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। করোনা মহামারির মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়েছে। সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশ আজ সমৃদ্ধির সোপান, যে যত কথাই বলুক। এটিই বাস্তবতা।

আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ১০০ বছর পর এ দেশের জনসংখ্যা কত হবে, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের কারণে আমাদের উপকূলের পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে এসব বিষয় মাথায় রেখে আমরা ডেলটা প্ল্যান ২১০০ করেছি।

গণমাধ্যমের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় অতি মাত্রায় খারাপ সংবাদ নিয়ে ব্যস্ত থাকি। রাজনৈতিক সংবাদ নিয়ে অতি মাত্রায় ব্যস্ত থাকি। কিন্তু দেশ যে সমৃদ্ধির দিকে যাচ্ছে সে জিনিসটা মানুষকে জানানো প্রয়োজন। সরকার যে এই পরিকল্পনাগুলো করেছে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং যাওয়ার মহাপরিকল্পনা করেছে সেটিও মানুষের জানা প্রয়োজন।

Comments

The Daily Star  | English

Thailand sees growing influx of patients from Bangladesh

Bangladeshi patients searching for better healthcare than that available at home are increasingly travelling to Thailand instead of India as the neighbouring country is limiting visa issuances for Bangladeshi nationals.

14h ago