ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি কারাগারে

মো. নুরুল আবছার। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে 'মানহানি' ও 'কটূক্তি' করার অভিযোগে চান্দগাও থানায় হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি মো. নুরুল আবছারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবির তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

জেলহাজতের প্রতিবাদে আদালত প্রাঙ্গণে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করে করদাতা সুরক্ষা পরিষদের নেতারা। পরে মিছিলটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগরের কদমতলীতে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শেষ হয়।

গত ২০ সেপ্টেম্বর মেয়রের একান্ত সচিব মোস্তফা কামাল চৌধুরী বাদী হয়ে নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন। এছাড়া মেয়রের অনুসারীদের পক্ষ থেকে নগরীর দুই থানায় পরিষদের ৩ নেতার বিরুদ্ধে দুটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ আমির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, মেয়রের পিএসের করা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আবছার জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ বাড়াতে গত ২২ নভেম্বর তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত আজকে শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন।

আবছার তার বক্তব্যে বলেন, 'মেয়র বলেছিলেন যে ১৯৮৬ সালে করা মূল্যায়ন অনুযায়ী আমাদের হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে হবে। ১৯৮৬ সালে যে কর মূল্যায়ন করা হয়েছিল তারপরে চসিক অনেক মেয়র পেয়েছে কিন্তু তারা কেউই ওই আইন বাস্তবায়ন করেনি। কারণ তারা চিন্তা করেছিলেন শহরবাসী বর্ধিত কর দিতে পারবে না।'

তিনি বলেন, 'যেহেতু ৩৬ বছরেও আইনটি বাস্তবায়িত হয়নি, কাজেই এখন তা বাতিল এবং অকার্যকর। আমি মেয়র নির্বাচনে আপনার (মেয়র) জন্য ভোট চাইতে মানুষের ঘরে ঘরে গিয়েছি। এখন সেই লোকেরা আমাকে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করছে। তারা বলেছে আমার অনুরোধে তারা আপনাকে ভোট দিয়েছে কিন্তু এখন তাদের হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। তাদের প্রশ্নের কোনো উত্তর আমার কাছে নেই। আমি তাদেরকে কোনো জবাব দিতে পারছি না।'

Comments

The Daily Star  | English

What if the US election ends in a Trump-Harris tie?

While not highly likely, such an outcome remains possible, tormenting Americans already perched painfully on the edge of their seats ahead of the November 5 election

1h ago