১০ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির ঘোষণা

নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: টিটু দাস/স্টার

নৌযান শ্রমিকরা ১০ দফা দাবিতে আগামীকাল রোববার মধ্যরাত ১২টা থেকে সারা দেশে লাগাতার কর্মবিরতি সফল করতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

আজ সকাল ১১টায় বিভাগীয় নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে বরিশাল নদী বন্দর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে পুনরায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা নদী বন্দরে যায়।

সমাবেশে সংগঠনটির বরিশাল বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, 'আজকের মধ্যে আমাদের ১০ দফা দাবি আদায় না হলে রাত ১২টা থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবে সারা দেশের নৌযান শ্রমিকরা।'

বরিশাল বিভাগের শ্রমিকরাও এই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।

শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি হচ্ছে:

১. নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদান।

২. নৌযান শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ।

৩. সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা এবং দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা।

৪. চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা।

৫. বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের ওপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা।

৬. নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ করা।

৭. ভারতগামী শ্রমিকদের লান্ডিং পাস প্রদানসহ ভারতীয় সীমানায় সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করা।

৮. চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করে সব লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা।

৯. চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল করা।

১০. নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা।

Comments

The Daily Star  | English

Taskforce report: 8 mega projects cost $7.5b more for graft, delay

The costs of eight mega projects soared by a staggering 68 percent, or $7.52 billion from the initial estimation, mainly due to poor and faulty feasibility studies, corruption, and delays in launch, according to the report of a government-formed task force.

7h ago