শ্রমিক অসন্তোষ: গাজীপুরে ২ পোশাক কারখানায় কর্মবিরতি

ইসলাম গ্রুপের শ্রমিকরা ২১ দফা ও তুষকা গ্রুপের শ্রমিকরা ১৬ দফা দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করছেন। ছবি: সংগৃহীত

শতভাগ সার্ভিস বেনিফিট, হাজিরা বোনাস, দুই ঈদে ছুটি বাড়ানো ও বার্ষিক বেতন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকার দুটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।

আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে ইসলাম গ্রুপ ও তুসুকা গ্রুপের শ্রমিকরা নিজ নিজ কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন।

ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, শিল্প পুলিশ ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইসলাম গ্রুপের শ্রমিকরা ২১ দফা ও তুসুকা গ্রুপের শ্রমিকরা ১৬ দফা দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করছেন।

ইসলাম গ্রুপের শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে আছে—অনিয়মের অভিযোগে কারখানা ব্যবস্থাপকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কয়েজনের চাকরিচ্যুতি, শতভাগ সার্ভিস বেনিফিট (চাকরি ছাড়ার পর আনুষঙ্গিক আর্থিক সুবিধা) দেওয়া, হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল ও নাইট বিলের ব্যবস্থা করা, অন্তত ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক বেতন বাড়ানো ইত্যাদি।

আর তুসুকা গ্রুপের শ্রমিকরা ১০ শতাংশ হারে বার্ষিক বেতন বাড়ানোর দাবি তুলেছেন। এর বাইরে ঈদুল ফিতরে সর্বনিম্ন ১০ দিন ও ঈদুল আজহায় সর্বনিম্ন ১২ দিন ছুটি, নামাজের বিরতি, ১২ রবিউল আউয়াল ও বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের দিন এবং দুর্গাপূজায় দুই দিন ছুটির দাবি তুলেছেন তারা।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য তুসুকা গ্রুপের পরিচালক তারেক হাসান এবং ইসলাম গ্রুপের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তারা ধরেননি।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ কোনাবাড়ী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইসলাম গ্রুপ শ্রমিকেরা কাজে যোগদান করবে। তাদের সঙ্গে মালিকপক্ষ কথা বলেছে।'

এছাড়া তুসুকা গ্রুপের শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের আলাপ চলছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

Comments

The Daily Star  | English
consensus commission bicameral parliament proposal

Consensus commission: Talks stall over women’s seats, upper house

The National Consensus Commission proposed establishing an upper house comprising elected representatives from each district and city corporation, and suggested abolishing the current system of reserved seats for women in parliament.

5h ago