চাঁদাবাজি মামলায় মৌলভীবাজারে সাবেক ছাত্রদল নেতা কারাগারে

সাজ্জাদুর রহমান মুন্না। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদাবাজি মামলায় কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাজ্জাদুর রহমান মুন্নাকে (৩৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

গতকাল বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশ। আজ বিকেলে তাকে সিলেটে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

মুন্না মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের মো. হিরা মিয়ার ছেলে। তিনি সিলেটের শাহপরান থানার শিবগঞ্জের সোনাপাড়া এলাকায় বসবাস করেন।

জানা গেছে, সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সাবেক ছাত্রদল নেতা সাজ্জাদুর রহমান মুন্না ও তার ভাই বেলাল আহমদের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে শাহপরান থানায় মামলা করেন কুলাউড়ার ভাটেরা ইউপি চেয়ারম্যান ও রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী সৈয়দ এ কে এম নজরুল ইসলাম। পরবর্তীতে মামলাটি পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব ব্যুরো তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর মুন্না ও তার ভাই বেলালের বিরুদ্ধে চলতি মাসের ৭ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর সৈয়দ এ কে এম নজরুল ইসলাম তার ১৬ শতক জায়গায় নির্মাণাধীন এসপি টাওয়ার-৩ এর কাজ চলমান থাকাবস্থায় সাজ্জাদুর রহমান মুন্না ও তার ভাই বেলাল আহমদ কাজে বাধা দেন। ঘটনার দিন সাজ্জাদুর রহমান মুন্না ও তার ভাই বেলাল আহমদ লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ভবনের নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দেয়। এসময় তারা ভবনের মালিককে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানায়। এরপর ভবন মালিক সৈয়দ এ কে এম নজরুল ইসলামকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে চাপ সৃষ্টি করে মুন্না।

ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি মো, শাফায়েত হোসেন বলেন, চাঁদাবাজির মামলায় মুন্না ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন। সিলেটের শাহপরান থানা থেকে মুন্নাকে গ্রেপ্তারে সহযোগিতা চাইলে বুধবার রাতে আমরা মুন্নাকে ফেঞ্চুগঞ্জের হাইওয়ে সড়কের টোল প্লাজা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে শাহপরান থানায় হস্তান্তর করি।

এ ব্যাপারে সিলেট শাহপরান থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান আজ বিকেলে জানান, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মুন্নাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

8h ago