মালয়েশিয়ার ‘আফ্রিকা এক্সপো’তে বাংলাদেশি পাট পণ্যের প্রতি আগ্রহ

বাংলাদেশের পাটের তৈরি পণ্যের প্রতি মালয়েশিয়ান ও অফ্রিকান আমদানিকারকদের আগ্রহ দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত 'আফ্রিকা এক্সপো'তে বাংলাদেশি পণ্য বেশ সাড়া জাগিয়েছে। বাংলাদেশি পাট পণ্যের প্রতি বিভিন্ন দেশের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের আগ্রহ দেখা গেছে।

কুয়ালালামপুরের পুত্রা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে গত ৯ নভেম্বর শুরু হয়ে ১১ নভেম্বর শেষ হওয়া ৩ দিনের মেলায় বাংলাদেশসহ ২১টি দেশ অংশ নেয়।

মালয়েশিয়ার মাধ্যমে আফ্রিকা ও এশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রচারের জন্য প্রবর্তন করা 'এক্সপো আফ্রিকা' আয়োজনটি একটি বিজনেস-টু-বিজনেস ট্রেড শো, যেখানে ২ মহাদেশের ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ার সুযোগ হয়। সে লক্ষ্য অংশ নেয় বাংলাদেশ।

হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে প্রাণ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ খাদ্য ও পানীয় এবং আরবান ব্যাগ পাট ও পাটের তৈরি পণ্য প্রদর্শন করে।

প্রতিদিনই বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আমদানিকারক, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল।

বাংলাদেশের পাট ও পাটের তৈরি পণ্যের প্রতি অনেকে দর্শনার্থী বিশেষ করে মালয়েশিয়ান ও অফ্রিকান আমদানিকারকদের আগ্রহ দেখা গেছে। এ নিয়ে তারা প্যাভিলিয়নে দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন।

বাংলাদেশের পাটের তৈরি পণ্যের প্রতি মালয়েশিয়ান ও অফ্রিকান আমদানিকারকদের আগ্রহ দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেন, শুরুর দিন থেকেই মেলায় ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তৃতীয় দিনে দর্শনার্থীর ভিড়টা বেশি ছিল। বাংলাদেশি পণ্যের প্রতি আগ্রহ দেখে আমাদেরও উৎসাহও অনেক বেড়ে গেছে।

উদ্বোধনী দিনে কেনিয়ার বোমেট কান্ট্রির গভর্নর অধ্যাপক হিলারি বারকুট ও আফ্রিকা এক্সপো পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ড. আব্দুল কাবুর বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা বাংলাদেশি পণ্যের বিশেষ করে পাটজাত সামগ্রীর প্রতি আগ্রহ দেখান।

তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন।

মেলার শেষ দিনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার। সেসময় সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ এ খাস্তগীর, কাউন্সেলর রাজনৈতিক ফারহানা আহমেদ চৌধুরী, কাউন্সেলর কনস্যুলার জিএম রাসেল রানা, প্রথম সচিব বাণিজ্যিক প্রণব কুমার ঘোষ।

পরে প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হাইকমিশনার বলেন, এ মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আফ্রিকার দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ার সুযোগ হয়েছে।

হাইকমিশনার জানান, বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশি পণ্য প্রসারের পাশাপাশি নতুন বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়তে মালয়েশিয়ায় আয়োজিত সব আন্তর্জাতিক আয়োজনে বাংলাদেশ অংশ নেবে। এ ছাড়া, একক মেলারও আয়োজন করা হবে।

লেখক: মালয়েশিয়াপ্রবাসী সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Govt dissolves NBR as per IMF proposal

An ordinance published last night disbands NBR and creates two new divisions

2h ago