মসজিদের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় যুবলীগ নেতা কারাগারে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় এক যুবলীগ নেতা ও তার মামাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সোহেল রানা মুন্সী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শাখা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা ও তার মামা তোফাজ্জল হোসেন ওয়াদুদ।
চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি চিলোকূট গ্রামের মুন্সীবাড়ি শাহী জামে মসজিদ তহবিলের ৭ লাখ ৯ হাজার টাকা আত্মসাতের দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবালের দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সোহেল রানা মুন্সীর বাবা ইসমাইল মুন্সী মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। বার্ধক্য ও অসুস্থতাজনিত কারণে ২০১৯ সালের জুন মাসে তার ছেলে সোহেল রানাকে কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর মসজিদে নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু হলে কমিটির লোকজন সোহেলের কাছে টাকা চান। কিন্তু সোহেল টাকা না দিয়ে ঘুরাতে থাকেন। সর্বশেষ গত ২৫ জানুয়ারি কমিটির লোকজন তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এই নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবালসহ কয়েকজনকে মারধর করে সোহেল। এরপরই তাকে অভিযুক্ত করে মামলা দেওয়া হয়।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী গোলাম মহিউদ্দিন স্বপন জানান, মামলা করার পর আদালতের নির্দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করে অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পায়। তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর আসামিরা আপোষ করার শর্তে মুচলেকা দিলে আদালত তাদেরকে জামিন দেয়।
কিন্তু আসামিরা মসজিদের আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত না দিয়ে জামিনের শর্ত ভঙ্গ করায় বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ বুধবার শুনানি শেষে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
উল্ল্যেখ্য, মামলা দায়েরের পরদিন ২৮ জানুয়ারি শুক্রবার চিলোকূট গ্রামের বাসিন্দারা যুবলীগ নেতা সোহেল রানা মুন্সীর আত্মসাৎ করা মসজিদের টাকা আদায়ের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
Comments