কারাগারে বন্দির সংখ্যা ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: স্টার ফাইল ছবি

দেশের কারাগারগুলোতে বন্দির সংখ্যা বর্তমানে ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন।

আজ রোববার জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'দেশের ৬৮টি কারাগারে বন্দির ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৬৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৪০ হাজার ৯৩৭ এবং নারী ১ হাজার ৯২৯ জন। অন্যদিকে কারাগারগুলোতে বর্তমানে মোট বন্দি আছে ৭৭ হাজার ২০৩ জন।'

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'যশোর, সিলেট, দিনাজপুর, ফেনী, পিরোজপুর ও মাদারীপুর কারাগার ছাড়া বাকি সব কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বন্দি আটক আছে।'

মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, কারাগারে ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি একটি চলমান প্রক্রিয়া। ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, খুলনা, নরসিংদী ও জামালপুরে কারাগার নির্মাণ বা সম্প্রসারণের কাজ চলছে।

'নির্মাণাধীন কারাগারগুলোর কাজ শেষ হলে ধারণক্ষমতা ৫ হাজার বৃদ্ধি পাবে,' বলেন তিনি।

মন্ত্রী আরো বলেন, 'কাশিমপুরে দেশের একমাত্র মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের মোট ধারণক্ষমতা ২০০ হলেও এখন ৬৩৪ জন বন্দি আটক আছেন। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে মোট নারী বন্দির সংখ্যা ২ হাজার ৯৮১ জন।'

কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ৫৯০ জন হলেও বর্তমানে সেখানে ৯ হাজার ৭৬৫ জন বন্দি আছে বলে জানান তিনি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, '২০২২ সালে সারাদেশে ১১৩ কেজি ৩৩১ গ্রাম আইস ও ১৬৭টি এলএসডি এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ১১৪ কেজি ৪৮৭ গ্রাম আইস ও ১২৯টি এলএসডি স্ট্রিপ জব্দ করা হয়েছে।'

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০২২ সালে ১ লাখ ৩২১টি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এসব মামলায় ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৭৫ জন মাদক চোরাকারবারিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৫৮ হাজার ১৬১টি মামলায় ৭২ হাজার ১৫৬ জনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, 'প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের নাফ নদী হয়ে আমাদের দেশে ইয়াবা ও আইস অনুপ্রবেশ করে।'

সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকারের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে রক্ষার জন্য ইতোমধ্যে সারাদেশে ৩১ হাজার ৮০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী কমিটি গঠন করা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

7h ago