‘আগামী নির্বাচনের আগে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরা হবে’
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরা হবে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'তারেক রহমান যে পরিমাণ লুটপাট করেছে সেই হিসাব আমাদের কাছে আছে। নির্বাচন সামনে আসতেছে তো, প্রস্তুত থাকেন। সব দেখাব।'
হারুনুর রশিদ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'তিনি বিএনপি-জামায়াত সরকারের কথা কমপক্ষে ৫০ বার বলেছেন। আপনি জানাবেন বিএনপি সরকারের আমলে বিদ্যুৎ, গ্যাসের দাম কত ছিল? দায়মুক্তি কেন ১৫ বছর যাবত বজায় রেখেছেন? বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে যে হরিলুট ও ভয়ানক অব্যবস্থাপনা চলছে।'
তিনি আরও বলেন, 'একদিন সময় দিন। আমরা যারা বিএনপির এমপি আছি তারা আলোচনা করব। আপনি ভূতের মুখে রাম নাম গল্প শোনায়েন না।'
তিনি বলেন, 'আমি আপনার কাছে স্পষ্ট জানতে চাচ্ছি বিএনপির সরকার গ্যাসের যে চুক্তি করেছে, সেটা আছে কি না? সেটা সংসদে উপস্থাপন করবেন। বিএনপির আমলে নিত্যপণ্যের দাম কত ছিল তার উত্তর দিন। শুধু বিএনপি জোট সরকারের সময় এই হয়েছে, ওই হয়েছে গল্প শোনাচ্ছেন।'
স্পিকারের কাছে সংসদে জ্বালানি নিয়ে আলোচনা করার প্রস্তাব করেন হারুন। তিনি বলেন, 'মানুষ বিদ্যুৎ নিয়ে হাহাকার করছে।'
তার প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'সংসদ সদস্য অনেক উত্তেজিত হয়ে গেছেন। অনেকে সত্য কথা সহজে নিতে পারেন না। আমিও চাই সংসদে সময় দেন। সেখানে জ্বালানি নিয়ে কথা বলব।'
'নাইকো মামলা নিয়ে যে পরিমাণ প্রমাণ আমাদের হাতে আছে, তাদের নেতা তারেক জিয়ার বন্ধু এবিআইয়ের কাছে যে পরিমাণ ওপেন সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, সেগুলো আমরা দেখাব। সেই সময় আমি তার (হারুনের) বক্তব্য শুনতে চাই, তিনি কী বলেন,' বলেন নসরুল হামিদ।
তিনি আরও বলেন, 'সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার প্ল্যান্টে যে পরিমাণ টাকা চুরি করেছে সেগুলোর প্রমাণপত্র আমাদের হাতে আছে। সেগুলোই ডকুমেন্টসহ সংসদের ভিডিও স্ক্রিনে তাদের দেখাব। খাম্বা কোম্পানি দিয়ে তারেক রহমান যে পরিমাণ লুটপাট করেছে তার হিসাব আমাদের কাছে আছে। সেই তথ্য আমরা সংগ্রহ করেছি। সময় হলে সব বের করব। নির্বাচন সামনে আসছে তো, প্রস্তুত থাকেন। সব দেখাব।'
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, 'বিএনপি জোট সরকারের সময় অন্ধকারে ১৭ ঘণ্টা ছিলেন। উনি বিদ্যুতের দামের কথা বলেন। আরে অন্ধকারে থাকার যে খরচ, সেই খরচের কথা বলেন।'
'বিএনপির সময়ে বিদ্যুতের সিস্টেম লস কত ছিল, তা কি হারুনুর রশিদ জানেন? উনি ভুলে গেছেন। ৪৪ শতাংশ অপচয় ছিল। এটা দুর্নীতির মধ্যে পড়ে,' যোগ করেন তিনি।
এসময় বিএনপির সংসদ সদস্যদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিয়ে সংসদে কথা না বলার অনুরোধ করেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
তিনি বলেন, 'আমি জানি না কোন মুখে আপনারা কথা বলার সাহস করেন। হয়ত লজ্জা-শরম আপনাদের মাঝে নাই। ঘণ্টা পর ঘণ্টা বলতে পারব। তথ্য না শুধু, প্রমাণদিসহ।'
Comments