সাগরে নিম্নচাপ: হাতিয়ার সঙ্গে সারাদেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ

হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাট থেকে সি-ট্রাক, ইঞ্জিনচালিত নৌকা, স্পিডবোটসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ আছে। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি ও জোয়ারের তীব্রতায় নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। 

বৈরী আবহাওয়ার কারণে হাতিয়ার সঙ্গে রোববার বিকেল থেকে সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছে। এর ফলে হাতিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় হাজারো যাত্রী আটকা পড়েছেন। 

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে স্থানীয় প্রশাসন ৩ নম্বর সর্তক সংকেত জারি করেছে। 

হাতিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'রোববার বিকেল থেকে নৌ যোগাযোগ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।'

হাতিয়ার আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মো. আলাউদ্দিন সুমন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে নোয়াখালীতে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত দেখানো হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে রোববার সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এর সঙ্গে ঝড়ো বাতাস বইছে। এতে হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত নিঝুম দ্বীপ, চর ঈশ্বর, নলচিরা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধহীন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। 

রাতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। 

হাতিয়া উপজেলার বঙ্গোপসাগর ও মেঘনা নদী উত্তাল থাকায় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাকে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে হাতিয়ার সঙ্গে চলাচলকারী সব যাত্রীবাহী নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দিনাজ উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '৮১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে কোনো বেড়িবাঁধ নেই। এর ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিঝুম দ্বীপের বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন।'

হাতিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সেলিম মিয়া ডেইলি স্টারকে জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট নৌ-রুটে বিআইডব্লিউটিএর সি-ট্রাক, ইঞ্জিনচালিত নৌকা, স্পিডবোটসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ আছে। এর ফলে হাতিয়ার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, 'দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উপজেলার সব সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।'

জানতে চাইলে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, 'মঙ্গলবার নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে হাতিয়া, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচরে আঘাত হানতে পারে। লোকজনকে নিরাপদে রাখতে ৪০১টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৮ হাজার ৩৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।'

ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে বিস্কুট ও শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English
Tariffs

Economic lessons from the tariff war

Our understanding of tariffs might not be complete.

9h ago