সাবেক তথ্যসচিবের আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়ে দুদক কী ব্যবস্থা নিয়েছে, হাইকোর্টের প্রশ্ন

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

'জনস্বার্থে' অবসরে পাঠানো সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কি না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। 

এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে আগামী ২৭ অক্টোবরের মধ্যে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানকে তা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত ১৬ আগস্ট তথ্যসচিব মো. মকবুল হোসেনকে 'জনস্বার্থে' অবসরে পাঠায় সরকার। পরদিন বাংলা দৈনিক কালবেলায় 'অর্থ কেলেঙ্কারিতে চাকরি হারালেন সচিব মকবুল' শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আজ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ বিষয়ে আদেশ দেন। 

কালবেলার প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে মকবুলের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রশাসনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও একজন শীর্ষ ক্রীড়া সংগঠকের যোগসাজশ রয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মকবুল হোসেনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর নির্দেশনা দেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এটা স্পষ্ট যে মকবুল হোসেনকে দুর্নীতির শাস্তি হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'সরকার তাকে প্রাসঙ্গিক আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে। সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে তাকে আগাম অবসরে পাঠানোর জন্য সরকার কোনো কারণ দেখাতে বাধ্য নয়।'

আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, তিনি হাইকোর্টের প্রশ্ন সম্পর্কে দুদককে জানাবেন এবং ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চে সাবেক সচিব মকবুল হোসেনের আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

1h ago